× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আক্রান্ত জেলা থেকে পালিয়ে আসা চাঁদপুরে ১২৪ জন কোয়ারেন্টিনে

বাংলারজমিন

চাঁদপুর প্রতিনিধি
৯ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার

করোনা আক্রান্ত জেলা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে নৌ-পথে ট্রলারে করে এবং সড়কে বিভিন্ন বাহনে চাঁদপুর সদর, হাইমচর, ফরিদগঞ্জ ও হাজীগঞ্জে ১২৪জন নিজ বাড়ীতে অবস্থান নিয়েছেন। এর মধ্যে হাইমচর উপজেলায় ৪৯ জনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন। চাঁদপুর সদরের ২৪ জনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। বাকীদের বিষয়ে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১১টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানগণ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, হাইমচর উপজেলায় চরভৈরবী, চরভাঙ্গা, মহজমপুর, আলগী, নয়ানী গন্ডামারা ও পশ্চিম চরকৃষ্ণপুর গ্রামে বুধবার রাত পর্যন্ত ৫০জন এসেছেন। এর মধ্যে ৪৯জনকে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হয়েছে। হাইমচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেজবা উল আলম ভুঁইয়া জানান, আক্রান্ত জেলা থেকে আগতদেরকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুঝানো হয়েছে। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশ নজরদারিতে রেখেছেন।

সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নে নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছেন ২১জন।
এসব লোকদের বাড়ীতে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী। সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলগী গ্রামের দাস বাড়ীতে নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছেন ৩জন। তাদেরকে বাড়ি থেকে আলাদা করে হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করেছেন চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী। তিনি বুধবার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। সদরের ল²ীপুর মডেল ইউনিয়নে মো. রাসেল খান (২৫) নামে একজন এসেছেন নারায়নগঞ্জ থেকে। ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান তথ্য পেয়ে তাৎক্ষনিক ওই বাড়ী লকডাউনের ব্যবস্থা করেছেন। ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নে নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছেন দুইজন।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিউলি হরি বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে বলেন, প্রাপ্ত তথ্যে এ পর্যন্ত আক্রান্ত জেলা থেকে ফরিদগঞ্জের ৫ ইউনিয়নে এসেছেন ৪৭জন।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৬নং পশ্চিম গুপ্টি ইউনিয়নের স্থানীয় লোকজন জানান, আদশা গ্রামের হাজি বাড়ী, মোল্লা বাড়ি, পাঁচকড়ী মিজি বাড়ী, পাঠান বাড়ি, লাউতলী মিজি বাড়ী, লাউতলী তপাদার বাড়ী, লাউতলী জমাদার বাড়ী, খাজুরিয়া লদের বাড়ীসহ আশাপামের গ্রামে নারায়নগঞ্জ থেকে প্রায় অর্ধশত লোক এসেছেন। এদের মধ্যে অনেকে নারায়গঞ্জ পলি ক্যাবল কারখানায় কাজ করতেন। তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন ৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম ভূঁইয়া।

এছাড়া হাজীগঞ্জ উপজেলায় মো. কাউছার হামিদ নামে একজন এসেছেন সোনারগাঁও থেকে। তিনি উপজেলার ৬নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়ন এর কাজিরখিল বেপারী বাড়ীর বিল্লাল হোসেন বেপারীর ছেলে। তবে সে সরকারি নির্দেশ মানছেন না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) মো. আফজাল হোসেন জানান, কাউছার হামিদ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এদিকে চাঁদপুরবাসীকে করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় আক্রান্ত জেলা থেকে আগত ব্যাক্তিদের তথ্য দিয়ে উপজেলা নির্বাহী র্কমকর্তা, থানার ওসিকে এবং তাদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করার জন্য জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান ও পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর