× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মুন্সীগঞ্জে রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড

বাংলারজমিন

মোজাম্মেল হোসেন সজল, মুন্সীগঞ্জ থেকে
৯ এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার

চলতি করোনা ভাইরাস মহামারিতে মুন্সীগঞ্জে জেলা লকডাউন ঘোষণা না করা হলেও জেলার গ্রামে গ্রামে রাস্তাগুলো ব্যারিকেড দিয়ে জরুরি যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে একটি গোষ্ঠী ফায়দা নিচ্ছে। অপরাধ প্রবণতা বাড়ার শঙ্কা করছেন অনেকেই। এরই মধ্যে মুন্সীগঞ্জ শহর লাগোয়া কারেন্টজাল উৎপাদন ও বিপপন এলাকা হিসেবে পঞ্চসার ইউনিয়নে মনোফিলামেন্ট তৈরির নামে ব্যবসায়ীরা কারেন্টজাল উৎপাদন শুরু করেছেন পুরোদমে। এলাকার প্রতিটি রাস্তায় কারেন্টজাল ব্যবসায়ীরা গাছ ও বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে জরুরি প্রয়োজনের এবং পুলিশের গাড়ি চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তারা কারেন্টজাল তৈরি করছেন পুরোদমে। কেননা সামনে বর্ষা মৌসুম। এই সময়ে কারেন্টজাল ব্যবসা জমজমাট থাকে। শুধু তাই নয়, তারা ব্যারিকেড সৃষ্টি করে এলাকায় চা, সিগারেট ও পানের দোকানগুলোতে দলবেঁধে আড্ডা এবং তাস খেলার নামে জুয়ার আসর বসিয়েছেন।  
বিষটি নিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) গাজী মো. সালাহউদ্দিন তাঁর ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, সম্মানিত মুন্সীগঞ্জ সদর থানাবাসী লকডাউন মানে পাড়া-মহল্লার ঢোকা বা বাহির হওয়ার রাস্তায় বাঁশ দিয়ে আটকে রেখে ভেতরে সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে আড্ডা দেয়া বা চা-কফি পান করা নয়।
লকডাউন মানে ঘরে তালাবদ্ধ থাকা। অনেক এলাকায় রাস্তায় স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়েছে, যা মোটেই ভালো হয়নি। রাস্তা দিয়ে অনেক জরুরী বিভাগের গাড়ি, নিত্যকার প্রয়োজনীয় খাবারের গাড়ি, পুলিশ, টেলিযোগাযোগ তথা তথ্যপ্রযুক্তি,সংবাদপত্র, এম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, কুরিয়ার সার্ভিস, ব্যাংকের গাড়ি চলতে হয়। গভীর রাতে পুলিশের টহল গাড়ি অলিগলিতে যেতে হয়। অনেক গরীব মানুষ দুধ, সবজি, মাছ প্রতিদিন বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। অনেক প্রসূতি মায়েদের দ্রুত হাসপাতাল বা ক্লিনিক নিতে হয়। আমাদের ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতার সাথে কাজ করতে হবে। আমাদের দীর্ঘদিন ধরে লক ডাউন থাকতে হতে পারে, কিন্তু জীবন জীবিকার জন্য আমার/আপনার সবার চলতে হবে।  

এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচাজ মো. আনিচুর রহমান রহমান বলেন, প্রশাসন থেকে লকডাউন ঘোষণা হয়নি। জনগণকে জিম্মি করে এবং তাদের দুভোর্গ সৃষ্টি হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। প্রয়োজন হলে প্রশাসনই করবে-স্থানীয়দের এতো উৎসাহিত হতে হবে না। তারা ঘরে ঘরে থাকুক। যারা রাস্তায় স্থায়ীভাবে ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করেছেন তাদের এগুলো স্ব-উদ্যোগে সরিয়ে নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর