নরসিংদীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে গার্মেন্ট শ্রমিক সুলতানা বেগম (৩৫) নামে এক নারী মারা গেছেন। মৃত সুলতানা ৬ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। তিনি জ্বর ঠান্ডা কাশি ও শ্বাস কষ্টে ভূগছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার মেঘনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের পূর্ব পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুলতানা নারায়গঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কাজ করতন। তবে তার নমুনা সংগ্রগের জন্য নরসিংদী স্ব্যাস্থ্য একটি টিম ঘনাস্থলে পৌঁছেছেন। এদিকে নিহত ব্যক্তিটি করোনার আক্রান্ত হয়েছে কিনা, সেই ভয়ে স্বামীর বাড়ী কাজিরকান্দিতে লাশ দাফন করতে দেয়নি গ্রামবাসী। এমনকি মৃত নারীর স্বামী আমানুল্লাকেও লাশের কাছে যেতে দিচ্ছে না তার স্বজনরা।
এখনো লাশ পড়ে আছে নৌকায়। লাশ পাহারা দিচ্ছেন মৃতের বাবা ফরিদ মিয়া।
জানা জায়, বেশ কয়েকদিন যাবৎ জ্বর ঠান্ডা ও কাশি শ্বাস ও কষ্টে ভুগছিলেন সুলতানা। সর্বশেষ নারয়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউনের পর বন্ধ হয়ে যায় শিল্প কারখানা। এরই মধ্যে গতকাল তার শ্বস কষ্ট শুরু হয়। পরে সে বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে নরসিংদী নিজ বাড়ী আলোকবালীতে চলে আসেন। সকালে তার শ্বাস কষ্ট আরো বেড়ে যায়। তাই বটতলী এলাকায় ডাক্তার দেখাতে যায়। সেখানে যাওয়ার পরপরই সুলতানা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে তার লাশ স্বামীর বাড়ী কাজির কান্দি গ্রামে নেওয়া হয়। কিন্তু করোনা উপসর্গ থাকায় গ্রামের লোকজন তাকে স্বামীর বাড়ীতে দাফন করতে দেয়নি। পরে লাশ নিয়ে পুনরায় বাবার বাড়ী আলোকবালীতে চলে আসেন।সব শেষ খবর পাওয়া পযর্ন্ত লাশ নদীর ঘটে নৌকায় পড়ে আছে।
আলোকবালী গ্রামের বাসিন্দা সমির বলেন, করোনার আক্রান্ত হয়েছে কিনা, সেই ভয়ে স্বামীর বাড়ী কাজির কান্দিতে লাশ দাফন করেতে দেয়নি । মৃতের স্বামীকেও লাশের কাছে যেতে দিচ্ছেনা তার স্বজনরা। এখনো লাশ পড়ে আছে নৌকায়। লাশ পাহাড়া দিচ্ছেন মৃতের বাবা ।
নরসিংদী সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন বলেন, মৃত সুলতানার নমুনা সংগ্রহের জন্য নরসিংদী স্ব্যাস্থ্য বিভাগের একটি টিম ঘটনাস্থলের গিয়েছেন। নমুনা সংগ্রহের পরই তার লাশ দাফন দেওয়া হবে। আইইডিসিআর থেকে রিপোর্ট আসলে বলা যাবে মৃত ব্যাক্তি করোনা পজিটিভ না নেগেটিভ।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত বিজয় ও দুলাল নামে দুই গার্মেন্ট শ্রমিক নিজ বাড়ী হাজিপুর এলাকায় আসলে গ্রামের মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে। পরে পুলিশ খবর দেয়া হলে তারা পালিয়ে যায়।