× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন?

মত-মতান্তর

শামীমুল হক
১৮ এপ্রিল ২০২০, শনিবার

পৃথিবীর এ মাথা থেকে ও মাথা সর্বত্র এক প্রশ্ন- করোনা কি মানব সৃষ্ট? বিশ্বের শক্তিধর দুটি রাষ্ট্রের দিকে আঙ্গুল সবার। এক্ষেত্রে দুটি মত দুই পক্ষের। এক পক্ষের বক্তব্য- বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা শক্রু রাষ্ট্রের উপর প্রয়োগের জন্য এ ভাইরাস তৈরি করেছিল। কিন্তু আমেরিকারই এক বিজ্ঞানী তা গোপনে চীনের কাছে হস্তান্তর করে। চীনের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়ার সময় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। অন্য পক্ষের বক্তব্য চীনের উহান শহরে করোনার উৎপত্তি। সেখানে বিজ্ঞানাগারে এ ভাইরাস তৈরি হচ্ছিল। ভুলবশত কোন এক যন্ত্র ছিদ্র হয়ে তা ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশের নানা পেশার মানুষও জানতে চান বিষয়টি। আসলেই কি করোনা ভাইরাস মানুষের সৃষ্টি? মিলিয়ন ডলারের এ প্রশ্নের উত্তর কখনো জানা যাবে কিনা তা ভবিষ্যৎ বলে দেবে। ততদিন এ নিয়ে নানা বিশ্লেষণ হবে। তর্ক-বিতর্ক হবে। একে অন্যের উপর দোষ চাপাবে। কিন্তু এরমধ্যে পৃথিবীর যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে যাবে। এখনই গোটা বিশ্বের অর্থনীতির চাকা স্তব্ধ হয়ে আছে। দেড় লাখের মতো মানুষ মারা গেছে। দেশে দেশে বেকারের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। মানুষকে ঘরে বন্দি করে দিয়েছে। পৃথিবীকে এ বিপর্যয় সামলে নিতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। বাংলাদেশের দিকে তাকালেই আঁচ করা যায় ভবিষ্যৎ কত অন্ধকার। ধাক্কা লেগেছে দেশের প্রধান দুটি বৃহৎ খাত গার্মেন্ট ও শ্রম বাজারে। মধ্যপ্রাচ্যের অবৈধ প্রবাসীদের এ মহাদূর্যোগকালীন সময়েও দেশে ফিরিয়ে আনতে হচ্ছে। লাইনে আরো বহু প্রবাসী রয়েছেন। এদের ফিরিয়ে আনতে চাপ বাড়ছে। এমনিতেই মাস যেতে না যেতেই অনাহারী মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। ত্রাণের জন্য বিক্ষোভ করছে। রাজধানীর মহল্লায় মহল্লায় ফটোকপি করার দোকানের সামনে মানুষের লম্বা লাইন। ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি করে তা জমা দেয়া হচ্ছে কমিশনারের কার্যালয়ে। সেখানে তালিকা হচ্ছে। রিলিফের এ তালিকায় নাম উঠাতে চলছে যুদ্ধ। গ্রাম থেকেও নানা খবর আসছে। চেয়ারম্যান, মেম্বারদের নাওয়া খাওয়া বন্ধ। দুঃস্থ, অসহায় মানুষের ভিড় বাড়ছে। দশ টাকা কেজির চাল কিনতেও লম্বা লাইন। এর উপর ডিলারদের কারসাজিতো আছেই। অনেক চেয়ারম্যান, মেম্বার কালো তালিকাভূক্ত হয়েছে এরইমধ্যে। টিসিবির মালামালও জব্দ হয়েছে। মানুষ বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। এটা ভাল লক্ষণ নয়। এরমধ্যেও সুখবর হলো হাওরে ধান কাটা শুরু হয়েছে। এবার ফলন ভাল হয়েছে। তবে কৃষকের মনে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাদের কস্টের ফসলের ন্যায্য দাম পাবেতো? নাকি এবারও মধ্যসত্ত্বভোগীদের খপ্পড়ে পড়তে হবে? বিষয়টিতে এখনই কড়া নজর দিতে হবে সংশ্লিষ্টদের। সরকার বিভিন্ন সেক্টরে প্রনোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এখানেও শঙ্কা এসব প্রনোদনা সঠিক নিয়মে, সঠিক খাতে ব্যয় হবেতো? আসলে দেশের মানুষ কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছেনা। এ সময়ে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা জরুরি। একদিন করোনা ভাইরাসের প্রভাব কমবে। পৃথিবীও সাজবে নতুন রুপে। আবার সবকিছু স্বাভাবিক হবে। ঘরবন্দি মানুষ সেই আশা নিয়ে দিন পার করছে। তবে করোনা ভাইরাস মানব সৃষ্ট কিনা মিলিয়ন ডলারের এ প্রশ্ন হয়তো থেকেই যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর