একদিকে রাজনীতির মারপ্যাঁচ, অন্যদিকে ভয়ঙ্কর করোনার কারণে লকডাউন। আর এই দুইয়ের যাঁতাকলে পরে এবারও বাংলাদেশের ইলিশ পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকবে কিনা তাই নিয়ে ঘোর সন্দেহে এপার বাংলার মৎস্য ব্যবসায়ীরা। যদিও ইলিশের মরশুম শুরু হবে জুনে। মাসের শেষ সপ্তাহে, তবু এখন থেকেই দুরুদুরু বক্ষ তাদের। ইলিশ ব্যবসায়ী সংস্থা হিলশার প্রধান কর্তা অতুল চন্দ্র দাস বললেন, পদ্মা - মেঘনার ইলিশের স্বাদই আলাদা। পশ্চিমবঙ্গের বাজারে এই মাছ পড়তে পায়না। দুহাজার বারো সাল থেকে বাংলাদেশ ইলিশ রপ্তানিতে রাশ টেনেছে। নয়ের দশকে বাংলাদেশ থেকে প্রায় পঁচিশ হাজার টন ইলিশ আসতো।
দুহাজার সাত থেকে আসতো সাত আট হাজার টন। দুহাজার বারো থেকে সব বন্ধ। গতবছর পুজোর আগে শুভেচ্ছা বার্তা হিসেবে একজন ব্যবসায়ী মারফত পাঁচশো টন ইলিশ এসেছিলো, যা কর্পূরের মতো উড়ে যায় নিমেষে। এখনো তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে ভারত - বাংলাদেশ চুক্তি হয়নি। তার ওপর লকডাউন। ব্যবসায়ীরা তাই শঙ্কিত। মমতা বন্দোপাধ্যের কাছে তাদের অনুরোধ, শেখ হাসিনার সঙ্গে ইলিশ মরশুম এর আগেই সব বিবাদ মিটিয়ে ফেলার। নয়তো দু বাংলার বাঙালিই ভাতে এবং হাতে মরবে।