× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কলকাতা কথকতা /কফিহাউস এর সেই আড্ডাটা আজ আর নেই ...

কলকাতা কথকতা

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
(৩ বছর আগে) মে ৩, ২০২০, রবিবার, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

সুপর্ণকান্তি ঘোষের লেখা গানটিতে মান্না দে যখন কণ্ঠ দিয়েছিলেন তখন কি তিনি জানতেন আড্ডাটি একদিন সত্যিই স্তব্ধ হয়ে যাবে? করোনার গ্রাসে ভয়াবহ লকডাউননে কলকাতার বিখ্যাত কফিহাউস এর ঝাঁপ বন্ধ। সকাল থেকে রাত, আড্ডার কলতানে মুখরিত হতো কফিহাউস, আজ সত্যিই আড্ডাটা নেই. আজ থেকে একশো চুয়াল্লিশ বছর আগে আঠারোশো ছিয়াত্তর সালের এপ্রিলে ব্রিটিশরা কফিহাউসের পত্তন করেছিল। উনিশশো বেয়াল্লিশ সালে বর্তমানের বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট এর আলবার্ট হলে উঠে আসে এই কফিহাউস। বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিটে আজও অবস্থান হলেও কলেজ স্ট্রিট কফিহাউস নামেই পরিচয় এই কফিখানার। অধ্যাপক, ছাত্র, ইন্টেলেক্চুয়াল, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, প্রকাশক আর অবশ্যই সাধারণ মানুষের আড্ডাস্থল এই কফিহাউস। একটা ইনফিউশন অর্থাৎ কালো কফি নিয়ে চারমিনারের ধোঁয়ার জল উড়িয়ে অক্লেশে যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দেওয়া যায় সেই ঠিকানার নামই তো কলকাতা কফিহাউস। সত্যজিৎ রায়, মৃনাল সেন, অমর্ত্য সেন, ঋত্বিক ঘটক, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন - কাকে ছেড়ে কার নাম বলবো? সবারই যৌবনের উপবন ছিল এই কফি হাউস। এখানে বসেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর এক্ষন পত্রিকার সম্পাদনা করতেন বন্ধু নির্মাল্য আচার্যকে নিয়ে।
সত্তরে কলকাতার ঝোড়ো রক্তাক্ত নকশাল আন্দোলনের মৌন সাক্ষী এই কফি হাউস। উনিশশো আটান্নোতে একবারই মাত্র কফিহাউস বন্ধ হয়েছিল অনটনের কারণে। বাংলা জুড়ে প্রতিবাদের আগুন সেই বছরই আবার বন্ধ হওয়া দরজা খুলে দেয়। এবারের এই লকডাউন কফিহাউসকে বিদীর্ণ করেছে। আবার কি কফিহাউসে মিলবে কফি, ব্রেড বাটার, টমেটো কিংবা চিকেন ওমলেট, কাটলেট অথবা স্যান্ডউইচ? কফির কাপে সেই তুফান উঠবে তো? আব্দুল বেয়াড়া ইনফিউশন কাপ ট্রে তে সাজিয়ে ছুটবে তো? কাউকে বলতে হবে নাতো - কফিহাউস এর সেই আড্ডাটা আজ আর নেই….
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর