করোনা যখন লকডাউনে বন্দি মানুষের মনে কেবল হতাশার বাণী নিয়ে আসছে, তখন তিনি যেন গুমোট কাটালেন দমকা সুপবনে। নিকষ কালো অন্ধকারের মধ্যে আনলেন আলোর রেখা। তিনি অষ্টআশি বছরের সরোজিনী মুখোপাধ্যায়। বারো বছর বাকি তাঁর বয়েসের সেঞ্চুরি পূরণের। তার আগেই তিনি ছক্কা হাঁকালেন মৃত্যুর বাউন্সারে। ষোলোদিন যমে- মানুষে টানাটানির পর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে এম আর বাঙুর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন সরোজিনী। মাদুরদহের বাসিন্দা সরোজিনী মুখোপাধ্যায় বাংলার ওল্ডেস্ট করোনা সারভাইভার তো বটেই, হয়তো বা ভারতেরও। সোডিয়াম পটাসিয়ামের ভারসাম্যহীনতা, উচ্চ রক্তচাপ, পাকস্থলীর ও মূত্রনালির সংক্রমণ নিয়ে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
আঠার এপ্রিল তিনি করোনা পজিটিভ ঘোষিত হন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙুরে। চলে যমের সঙ্গে মানুষের দড়ি টানাটানি খেলা। এম আর বাঙুর এর সুপার ড: শিশির নস্কর জানাচ্ছেন, কোনো কোনো সময়ে ডাক্তাররাও ভাবতেন, বুঝি সব শেষ হয়ে গেল। কিন্তু, অদম্য মনোবল অষ্টআশির সরোজিনীর। আহমেদাবাদে থাকা ছেলে শুভব্রতও বোধহয় ভেবেছিলেন করাল করোনার কাছেই হয়তো আত্মসমর্পণ করতে হবে মা কে। কিন্তু অদম্য প্রাণশক্তি সরোজিনীকে ফিরিয়ে আনলো তাঁর মাদুরদহের ফ্ল্যাটে। দুর্ধষ করোনাকে হার মানিয়েছেন অষ্টআশি বছরের বৃদ্ধা। তিনি তো মৃত্যুঞ্জয়ী।