করোনা ভাইরাস এর দাপটে পশ্চিমবঙ্গের চল্লিশ হাজার রেস্তোরাঁ এবং কুড়ি হাজার হোটেল বিপন্ন হতে চলেছে। বহু ব্যবসায় ঝাঁপ ফেলে দিতে হবে বলে জানাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রেস্তোরাঁ ও হোটেল ব্যাবসায়ী সংগঠন। লকডাউন এর দু পর্যায় মেনে প্রায় দেড়মাস ব্যবসা বন্ধ রেস্তোরাঁ ও হোটেলের। লকডাউন এর তৃতীয় পর্যায়ে বহু ব্যবসাকে ছাড় দিলেও বন্ধই আছে রেস্তোরাঁ ও হোটেল। কিছু কিছু রেস্তোরাঁ অনলাইন সার্ভিস এর মাধ্যমে অস্তিত্ব বজায় রাখলেও এস্টাব্লিশমেন্ট খরচই উঠছে না। লকডাউন উঠে গেলেও মানুষ কতটা বাইরে খাবে, কতটা ইটিং আউট এর ব্যাপারটা চালু থাকবে তাই নিয়ে সন্দিহান ব্যবসায়ীরা। কলকাতার স্ট্রিট ফুড ভারত সেরার মর্যাদা পেয়েছে। রোল থেকে শুরু করে তেলেভাজা, ফুচলার ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত।
কলকাতার অফিসপাড়া ডালহৌসিতে হরেক রকম খাবারের স্ট্রিট ভেন্ডর মেলে। অফিসপাড়া আর সেই ছন্দে ফিরবে কিনা তাই নিয়ে সন্দিগ্ধ স্ট্রিট ফুড এটা কারবারিরা। রেস্তোরাঁ, হোটেল গুলোর দৈন্যদশা আরও প্রকট। বিদ্যুতের বিল, এ সি র খরচ, কর্মীদের মাইনে, রক্ষনাবেক্ষনের বায় সব মেটাতে হচ্চে। অথচ আয় নেই এক পয়সাও। এই অবস্থায় অশনি সংকেত দেখছে হোটেল রেস্তোরাঁ সংগঠন। তারা অবিলম্বে সরকারের দ্বারস্থ হতে পারে।