করোনা ছড়াতে মুসলমানদের অসচেতনতাকে কলকাতা শহরের যাঁরা দায়ি করছেন, তাঁরা সম্ভবত পার্কসার্কাস এর কাছের তপসিয়ায় ওয়ালি রাহমানিকে দেখেননি। গত চল্লিশদিন ধরে রাহমানি এবং তার সংগঠন উমিদ মানুষকে বিশ্বাস জোগানোর কাজটা করছে। করোনা বিধ্বস্ত, লকডাউনে আটকে পড়া নিরন্নদের মুখে অন্ন পৌঁছে দিচ্ছে উমিদ। উমিদ এর অধিনায়ক ওয়ালি রহমানির বয়স কুড়ি। এই কুড়ি বছর বয়সটা হেসে খেলে বেড়ানোর সময়। দুঃসহ যৌবনের স্পর্ধিত উচ্চারণ শোনার সময়, রাহমানি এই সময়টা দিচ্ছে দুঃস্থ মানুষের জন্যে। চাল, ডাল, আটা, চিনির বস্তা পৌঁছে দিচ্ছে আর্ত মানুষের দরজায়। চল্লিশ দিনে পাঁচ হাজার কেজি রেশন রাহমানি ও তার উমিদ পৌঁছে দিয়েছে করোনায় বিপর্যস্ত মানুষগুলোকে।
প্রচারবিমুখ রহমানিকে জিজ্ঞাসা করুন, উত্তর পাবেন, মানুষের জন্যে এইটুকু করতে না পারলে মানুষ্ হলাম কোথায়? আটদশজনের সমমনস্ক তরুণদের নিয়ে তার উমিদ। মানছি, কিছু অজ্ঞতা করোনাকে মুক্তমঞ্চ দিয়েছে। কিন্তু এই প্রেক্ষিতে ওয়ালি রাহমানিও তো বাস্তব। কোনো ফেরেস্তা নয় কুড়ি বছরের ছেলেটি। কিন্তু অবিশ্বাসের এই দুনিয়ায় রাহমানি যেন এক বিশ্বাসের প্রতীক।