বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অন্যতম কর্তা মনির হোসেন। ফিফা স্বীকৃত একজন সহকারী রেফারিও তিনি। পুত্রকে নিয়ে ২১ মার্চ ভেলোরে চিকিৎসার জন্য গিয়ে আটকা পড়েছেন লকডাউনে। গত বছর বাইক দুর্ঘটনায় আহত পুত্রের মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গেছে। মস্তিষ্কেও রক্তক্ষরণ হয়েছে। কিন্তু অ¯্রােপচারের জন্য ৩০ মার্চ দিন ঠিক থাকলেও তা লকডাউনের জন্য আর হয়ে ওঠেনি। তখন থেকেই আটকে রয়েছেন ভেলোরে। অনেকবার মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছেন বিমানে, রেলে বা বাসে দেশে ফেরার।
ইউ-এস বাংলার বিশেষ বিমানের ৩২ হাজার টাকা দামের টিকিটের জন্য চেষ্টা করেও আসন না থাকায় ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু মনির ও আরেকটি বাংলাদেশি পরিবার ভেলোরে একই লজে আটকা পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি বাঙালি পরিবারের সঙ্গে বিশেষ বাসে করে ১৮০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে অবশেষে কলকাতায় পৌঁছেছেন। কঠিন এই বাস যাত্রার কষ্ট ভুলে মনির এখন পরিবার সহ ঢাকা ফিরতে উদগ্রীব। ইতিমধ্যেই তিনি কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশন থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত যাবার পাসও সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু বর্ডার পর্যন্ত যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে চিন্তিত। স্থানীয় গ্রাম বাসীরা বাইরের মানুষকে সীমান্তে যেতে দিতে আপত্তি করছেন বলে জেনে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তবে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার জন্য ইমিগ্রেশন খোলা রয়েছে। দুটি ট্যাক্সি ভাড়া করে মনির ও আরেকটি বাংলাদেশি পরিবার রওনা হয়েছে পেট্রাপোলের দিকে। ঠিকভাবে সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলে ঢাকা ফেরায় সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন তিনি।