× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যাকাত দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন আল্লাহ্

খোশ আমদেদ মাহে রমজান

মাওলানা এম.এ.করিম ইবনে মছব্বির
১১ মে ২০২০, সোমবার

ইসলামী জীবন হচ্ছে মুসলমানদের পঞ্চস্তম্ভ বিশিষ্ট ঘরের মতো। আর যাকাত হচ্ছে সেই ঘরের পঞ্চস্তম্ভ। আল্লাহ্র  কি কুদরত, গরীব মুসলমানদের ইসলামের মুল তিনটি ভিত্তি পালন করতে হয়। কালিমা, নামাজ, রোজা। আর ধনীদের পাঁচটাই পালন করতে হয়। এগুলো হলো- কালিমা , নামায, রোজা, হজ ও যাকাত।
যাকাত, ইসলামের মৌলিক ইবাদত সমূহের মধ্যে অন্যতম। প্রত্যেক মুমিনদের যাকাত ফরজ হওয়ার বিষয় সম্পর্কে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। ঠিক তেমনি ভাবে যার উপর যাকাত ফরজ তাকে তা নিয়মিত পরিশোধও করতে হয়।
আল্লাহ পাক আল কোরআনের অনেক স্থানে নামাজের পাশাপাশি যাকাত প্রদানের তাগিদ দিয়েছেন। আল্লাহ পাক ঘোষণা করেন যে, তোমরা নামাজ কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রকুকারীদের সাথে রুকু কর (সূরায়ে বাকারা)। নবী করীম (সাঃ) বলেন ইসলামের মূল ভিত্তি পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ ব্যতীত আর  কোন মাবুদ নাই এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল,  নামাজ প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত দেয়া, শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্য থাকলে হজ করা এবং পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখা (বুখারী ও মুসলিম)।
নবী  করীম (সাঃ) বলেন, আল্লাহপাক তাদের সম্পদের উপর যাকাত ফরজ করেছেন, যা ধনী ব্যক্তিদের থেকে নিয়ে দরিদ্র ব্যক্তিদের মাঝে বিতরণ করা হয়। (তিরমিযী শরীফ)। সুতরাং,সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা সিয়াম পালনের সাথে সাথে গরীব, দুঃখী, দুস্থ, অভাবী, অনাথ, এতিম, মিসকিন এবং কপর্দকহীন পথচারীকে যাকাতের অর্থ বন্টন করে দিবে। প্রত্যেক রোজাদার মুমিনের কর্তব্য মাহে রমজানের রোজা পালনের সাথে সাথে যাকাতের অর্থ সম্পদ দুস্থ মানবতার সেবায় ব্যয় করা, গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাড়িয়ে সহানুভূতি প্রদর্শন করা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর