× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কলকাতা কথকতা / প্রয়াত ইরফানকে ভুলেনি তার গ্রাম, অভিভূত বাঙালি বধু সুতপা

কলকাতা কথকতা

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
(৩ বছর আগে) মে ১২, ২০২০, মঙ্গলবার, ৭:১০ পূর্বাহ্ন

বাঙালি স্ত্রী সুতপা সিকদারের কল্যাণে মাছ ভাত খেতে ভালোবাসতেন বলিউডের প্রয়াত আন্তর্জাতিক তারকা ইরফান খান৷ সুতপা যদিও মূলত আসামের মেয়ে, তবু বাংলাকে ভালোবাসতেন ইরফান৷ কিন্তু তিনি জানতেন না তাঁর সাবেক গ্রাম লগতপুরি তাঁকে ভালোবাসে আরও অনেক বেশি৷ না বাসার অবশ্য কারণ ও নেই৷ নিজের জন্মস্থানের জন্যে ইরফান নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন৷ লগতপুরিতে বিদ্যুৎ এর ট্রান্সফরমার বসানোর পিছনে ইরফান এর অবদান আছে৷ গ্রামের স্কুল, লাইব্রেরির জন্যে মুক্ত হস্তে দান করেছেন তিনি৷ বহু দুঃস্থ কিশোরকে কিনে দিয়েছেন কম্পিউটার৷ এমনকি এই গ্রামে একটি বাড়িও কিনেছিলেন ইরফান অবসর কাটানোর জন্যে৷ লগতপুরি প্রার্থনা করেছিল ইরফানের আরোগ্যের জন্যে৷ সেই প্রার্থনা বিফলে গেছে ঠিকই৷ কিন্তু গ্রামপ্রধানরা বসে ঠিক করেছেন ইরফানকে তাঁরা অমর করে রাখবেন লগতপুরির মধ্যে দিয়ে৷ তাই তাঁরা লগতপুরি নামটাই পাল্টে দিয়েছেন৷ এই গ্রামের নাম এখন থেকে - হিরো চি ওয়াদি, মারাঠি ভাষায় যার অর্থ হিরোর প্রতিবেশী৷ লগতপুরিতে কোনো সিনেমা হল নেই ইরফান এর ছবি এলেই লগতপুরির বাসিন্দারা তিরিশ কিলোমিটার দূরে নাসিকে গিয়ে সেই ছবি দেখতেন৷ সেই হিরো মৃত্যুর পরে তাদের প্রতিবেশী হয়ে গেলেন৷ চিরতরে৷
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর