করোনা আবহে কয়েক দিনে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় প্রশাসন বিশেষ সতর্কতা নিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাঙ্গাকারীদের কঠোর হাতে দমন করার কথা বলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেভাবে উসকানি দেওয়া হচ্ছে এবং গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তা নিয়েও মমতা সকলকে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন। বলেছেন, আপনারাই বিচার করুন কোন রাজনৈতিক নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবৃতি দিচ্ছেন। তার প্রশ্ন, কোভিডের ক্ষেত্রে হিন্দু-মুসলমান বলে কিছু হয়? কয়েকদিনে করোনা ইস্যুকে উপলক্ষ্য করে হুগলি জেলার তেলেনিপাড়া, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার সুভাষগ্রামে সাম্প্রদায়িক অশান্তি হয়েছে। সব জায়গাতেই এক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আরেক সম্প্রদায় হামলা চালিয়েছে। নিক্ষেপ করেছে বোমা। পুলিশও আক্রান্ত হয়েছে।
আহত হয়েছেন স্থানীয় বেশ কিছু মানুষ। পরিস্থিতি সবচেয়ে গুরুতর আকার নিয়েছে তেলেনিপাড়াতে। সেখানে তিনদিন ধরে চলেছে লুট, অগ্নিসংযোগ ও হিংসাত্মক আক্রমণ। র্যাব নামিয়ে পরিস্থিতিকে সামাল দিতে হয়েছে। উস্কানি ও গুজব যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য চন্দননগর ও শ্রীরামপুর এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তেলেনিপাড়ায় ঘটনায় ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যত্র আরও ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানানা হয়েছে। হুগলির বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে। তৃণমুল কংগ্রেসের অভিযোগ, পরিস্থিতি সামাল দেবার পরিবর্তে উসকানি দিতে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং সাংসদ খগেন মুর্মূ ঘটনাস্থলে যাবার চেষ্টা করেছেন। তবে পুলিশ দুটি জায়গাতেই তাদের আটকে দিয়েছে। এর প্রতিবাদে বিজেপি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে নালিশ করেছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের মতে, লকডাউনের মধ্যেও বিজেপি নেতারা দাঙ্গায় উসকানি দিচ্ছেন।