× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দাঙ্গার উস্কানিদাতাদের খোঁজে নোডাল অফিসার নিয়োগ

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৩ বছর আগে) মে ১৫, ২০২০, শুক্রবার, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনা দিয়ে কারা দাঙ্গা বাধাচ্ছে তাদের খোঁজে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নোডাল অফিসার নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি হুগলির তেলেনিপাড়া, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে ব্যাপক লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাধারণ মানুষও। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনা দিয়ে কারা দাঙ্গা বাধাচ্ছে তা জানতে আমি সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে বলেছি। শুধু অভিযুক্তদের চিহ্নিত করাই নয়, তাদের শাস্তির ব্যবস্থাও করবেন ওই অফিসাররা। মমতা বলেছেন, রমজান চলছে।
আর তার মধ্যেই কিছু লোক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টায় রয়েছে। কিছু রাজনৈতিক দল দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তেলেনিপাড়ার ঘটনায় ১২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। দাঙ্গা মোকাবিলায় ব্যর্থতার দায়ে ভদ্রেশ্বর থানার আইসিকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিজেপি সাম্প্রদায়িক বিভাজন করতে চাইছে। করোনার সময় এই ভাগাভাগির খেলা অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ। বিজেপি অবশ্য পাল্টা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে। এদিন অবশ্য মমতা বলেছেন, লকডাউন ভেঙে যারা দাঙ্গা করেছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে পদক্ষেপ করা হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ও হুগলির তেলেনিপাড়ার সংঘর্ষ নিয়ে লাগাতার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। জোরদার প্রচারে নেমেছে বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর