× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাহিত্যিক দেবেশ রায় চলে গেলেন

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৩ বছর আগে) মে ১৫, ২০২০, শুক্রবার, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন

তিস্তাপাড়ের নতুন বৃত্তান্ত লেখার আগেই সকলের কাছ থেকে বিদায় নিলেন তিনি। দুই বাংলার জনপ্রিয় সাহিত্যিক দেবেশ রায় চলে গেলেন। কলকাতার একটি নার্সিংহোমে বৃহস্পতিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ডিহাইড্রেশানজনিত সমস্যার কারণে বুধবারই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তাঁর স্ত্রীর আগেই মৃত্যু হয়েছে। রেখে গিয়েছেন একমাত্র ছেলেকে। তাঁর মৃত্যুতে লেখক ও পাঠক মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পাবনা জেলার বাগমারা গ্রামে জন্ম দেবেশ রায়ের। জলপাইগুড়িতে স্কুল ও কলেজে শিক্ষার পাঠ শেষ করে চলে এসেছিলেন কলকাতায়। তবে তাঁর লেখায় সবসময়ই উঠে এসেছে উত্তরবঙ্গের মানুষের হাসি-কান্নার কথকতা। তাঁর প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় ১৯৫২ সালে। একসময় ‘পরিচয়’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। সাহিত্য পত্রিকা ‘প্রতিক্ষণ’-এরও সম্পাদক ছিলেন। একেবারে সাম্প্রতিক সময়ে ‘সেতুবন্ধন’ পত্রিকা সম্পাদনারও দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সম্পাদক হিসাবে বহু তরুণ লেখক তাঁর প্রশ্রয় ও উৎসাহ পেয়েছেন। ‘তিস্তাপারের বৃত্তান্ত’ উপন্যাসের জন্য তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘লগন গান্ধার’, ‘মানুষ খুন করে কেন’, ‘বরিশালের যোগেন মন্ডল’, ‘মফস্বলী বৃত্তান্ত’, ’যযাতি’, ‘সময় অসময়ের বৃত্তান্ত’ প্রভৃতি। এছাড়াও লিখেছেন বহু ছোটগল্প। গল্প ও উপন্যাস ছাড়াও গবেষণামূলক বহু প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রবন্ধ গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর আদি গদ্য’, ‘সময় সমকাল’, ‘উপনিবেশের সমাজ ও বাংলা সাংবাদিক গদ্য’, ‘শিল্পের প্রত্যহে’, ‘উপন্যাসের নতুন ধরনের খোঁজে’ প্রভৃতি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর