× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পশ্চিমবঙ্গে কারফিউ নয়, ২১ মে খুলবে সব দোকান, ২৭ মে থেকে চলবে অটো

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৩ বছর আগে) মে ১৯, ২০২০, মঙ্গলবার, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন

ভারত সরকারের জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে জারি হবে না নাইট কারফিউ। তবে কড়াভাবে বলবৎ হবে লকডাউনের নিয়ম। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, নাইট কারফিউ মানুষের ভোগান্তিই বাড়াবে। তিনি বলেছেন, কারফিউ সাধারণত সিরিয়াস কিছু হলে আমরা বলবৎ করি। তাই এই শব্দটায় মানুষের একটা আতঙ্ক রয়েছে। আমরা নাইট কারফিউ বলবৎ করব না। তবে রাতে লকডাউন কড়াভাবে পালন করতে হবে। কেউ রাতে লকডাউন ভাঙলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে প্রশাসন।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রবিবার এক নির্দেশে লকডাউনের মেয়াদ চতুর্থ দফায় ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানোর পাশাপাশি সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরদিন ভোর ৭টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। মমতা অবশ্য জানিয়েছেন, কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে ৩১ মে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে জারি থাকবে লকডাউন। তবে তিনি বলেছেন, আগের লকডাউনের সঙ্গে এবারের লকডাউনের ফারাক রয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ হিসেবে রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গে কনটেইনমেন্ট জোনকে তিনটি (এ, বি, সি) ভাগে ভাগ করেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ জোন হল সংক্রমিত (এফেক্টেড) এলাকা। বি জোন হল বাফার জোন। সি হল ক্লিন জোন। বুথ ও ওয়ার্ডভিত্তিতে এই কন্টেইনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যে সব ধরণের জমায়েত বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে মমতা বলেছেন, খেলাধুলা করা যাবে। কনটেইনমেন্ট এ জোনের বাইরে শিথিল করা হবে লকডাউনের বিধি। ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে রোটেশনাল পদ্ধতিতে খোলা হবে সরকারি ও বেসরকারি অফিস। বি ও সি জোন এলাকায় ২১ তারিখ থেকেই খুলবে সব বড়, মাঝারি ও ছোট দোকান। খোলা হবে সেলুন ও পার্লারও। তবে সুরক্ষাবিধি মানতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। দূরত্ববিধি মেনে হোটেল খোলায় সম্মতি দিলেও রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৭ তারিখ থেকে হকার্স মার্কেটও খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। তবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পুরসভা ও পুলিশের যৌথ কমিটি। মূলত জোড় বিজোড় নীতিতেই হকার বাজার খোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে প্রত্যেক দোকানে স্যানিটাইজার রাখা বাধ্যতামূলক। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বেসরকারি বাস চালানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে জেলায় জেলায় এবং আন্তঃজেলা সরকারি বাস চলবে। ২৭ মে থেকে দু’জন করে যাত্রী নিয়ে অটো( সিএনজি) ও ট্যাক্সি চলবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী সব ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ঈদের সময় ঘরে বসেই ঈদ পালনের কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে অভিবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ২৩৫টি ট্রেনে অভিবাসী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আরও ১২০টি ট্রেন চাইব। ট্রেনে আসার জন্য শ্রমিকদের টিকিট কাটার দায়িত্ব রাজ্য সরকারই নিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর