ছাব্বিশ রোজা পার হচ্ছে আজ। আজ দিবাগত রাতে পবিত্র শবেকদর। ইমাম আবু মুহাম্মদ ইবনে আবু হাতিম (রা.) সুরা কদরের ব্যাখ্যা প্রদান করতে গিয়ে বিখ্যাত সাহাবী হযরত কাব আহরার (রা.) হতে শবেকদরের রজনী সম্পর্কে একটি বিস্ময়কর বর্ণনা উল্লেখ করেছেন। তা হলো: সপ্তম আকাশে জান্নাতের নিকটবর্তী স্থানে সিদরাতুল মুনতাহা অবস্থিত। উক্ত গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় অগণিত ফেরেশতা থাকেন। একচুল পরিমাণ জায়গাও খালি নেই। ওই গাছের মাঝামাঝি স্থানে জিব্রাঈল (আ:) ফেরেশতার আবাস। মুমিন বান্দাহদের প্রতি অতি স্নেহশীল ও মমতার প্রতীক এই সব ফেরেশতাকে নিয়ে শবেকদরে ভূপৃষ্ঠে পদার্পণ করার জন্য মহান আল্লাহ হযরত জিব্রাঈল (আ:) কে নির্দেশ দেন।
শবেকদরে সূর্যাস্তের পরই সমস্ত ফেরেশতা জিব্রাঈল (আ.)-এর নেতৃত্বে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং দুনিয়ার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েন।
প্রত্যেক স্থানে সিজদা ও রুকু করেন। তারা মুমিন নারী-পুরুষদের জন্য দোয়ায় লিপ্ত হন।
এভাবে সারারাত তারা পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়ান। এবং মুমিনদের জন্য মঙ্গল কামনা ও কল্যাণের দোয়া করতে থাকেন। হযরত জিব্রাঈল (আ.) প্রতি ঈমানদারদের সঙ্গে করমর্দন করেন। শরীর রোমাঞ্চিত হওয়া, হৃদয় বিগলিত হওয়া, নয়ন থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়া ইত্যাদি তার করমর্দনের প্রতীক। এই অবস্থা অনুভূত হলে বুঝতে হবে, এই মুহূর্তে আমার হাত জিব্রাঈল (আ.)-এর হাতের ভেতর। তিনি আরো বলেন- যে ব্যক্তি এই রাতে তিনবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু পড়বে প্রথমবার পড়ার বদৌলতে তাকে ক্ষমা করা হবে। দ্বিতীয়বার পড়ার বদৌলতে নরক থেকে পরিত্রাণ লাভ করবে। তৃতীয়বার পড়ার ফলে সে বেহেশতে প্রবেশ করবে। সুবহানাল্লাহ।
শবেকদরের মহিমান্বিত রজনীতে এই দোয়া বেশি বেশি করে পাঠ করবেন।
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফউন, তুহিববুল আফওয়া, ফাফু আন্নি ইয়া আল্লাহ। অর্থাৎ হে আল্লাহ তুমি বড় ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসো। কাজেই আমাকে ক্ষমা করো ।