ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গতকাল এক লাখ ছাড়িয়ে  গেছে। বিশ্বে একাদশতম দেশ হিসেবে ভারত করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় এক লাখ ছুঁয়ে ফেলেছে। কয়েকদিন আগেই পরিসংখ্যানবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, ভারতে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে সাতদিনের মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে। তাদের সেই আশঙ্কাই সত্যে পরিণত হয়েছে। সাতদিনের আগেই ভারত পৌঁছে গিয়েছে লক্ষাধিক সংক্রমণের তালিকায়। মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ভারতে এদিন সকাল পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১ হাজার ১৩৯। এর মধ্যে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৮০২ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৯ হাজার ১৭৩ জন। এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১৬৩ জনের। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত কয়েকদিনে ভারতে সংক্রমণের হার অস্বাভাবিক গতিতে বেড়েছে। অঙ্কের পরিভাষায় এই বৃদ্ধিকে বলা হয়েছে, এক্সপোনেনশিয়াল রাইজ। গত ৩০শে জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল  কেরালায়। চীনের উহান ফেরত  কেরালার এক ছাত্রীই ভারতের  প্রথম করোনা আক্রান্ত। ভারতে ৪ঠা ফেব্রুয়ারির ভেতর চীন  ফেরত আরো দু’জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা তিনে পৌঁছতেই কেরালা সরকার কোভিড-১৯ সংক্রমণকে  সে রাজ্যে বিপর্যয় বলে ঘোষণা করে। তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রথম ২৫ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ দিনে। ২৫ থেকে ৫০ হাজারে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাতে সময় লেগেছে ১১ দিন। তবে পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ হাজার স্পর্শ করেছে। এর পর আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছে মাত্র ৫ দিন। ভারতে সংক্রমণের নিরিখে সবার শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে ভারতে মোট আক্রান্তের ৩৯ শতাংশ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এর অনেক নিচে রয়েছে তামিলনাডু। সেখানে সংক্রামণ হয়েছে ১৩.৭ শতাংশের মধ্যে। গুজরাট ও দিল্লিতে আক্রান্তের হার যথাক্রমে ১১ ও ১০.৪ শতাংশ।