× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কলকাতা কথকতা /বাংলাদেশ থেকে মাছ আসা বন্ধ, বাঙালির পাত শূন্য

কলকাতা কথকতা

জয়ন্ত চক্রবর্তী, কলকাতা
(৩ বছর আগে) মে ২০, ২০২০, বুধবার, ১:০৪ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের মাছ মানেই যারা ইলিশের কথা ভাবেন, তাঁরা যে মূর্খের স্বর্গে বাস করেন তা বলাই বাহুল্য। প্রতিবছর এই সময়টিতে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পঁয়ত্রিশ থেকে চল্লিশটি কন্টেইনার ভর্তি মাছ প্রতিদিন আসে ভারতে। এক একটি কন্টেইনারে পঁচিশ টন করে মাছ ধরে। ত্রিপুরার আখাউড়া, বাংলার বনগাঁর পেট্রাপোল, দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে এই মাছ ঢোকে। যেদিন খুব খারাপ সরবরাহ হয় সেদিনও পেট্রাপোল দিয়ে পাঁচ ছটি ট্রাক ঢোকে। এক একটি ট্রাকে থাকে চার থেকে পাঁচ টন পর্যন্ত মাছ। ভারত থেকেও বাংলাদেশে মাছ যায়। তবে, মূলত রুই মাছ।
মাছের স্বর্গরাজ্য বাংলাদেশ থেকে আসে আইড়, পাঙ্গাস, বেলে, কাতলা, বাঁশপাতা, বোৱালি, মাগুর, শিং, বাটা, বাতাসি, গুরজালি, মৃগেল, খয়রা ইত্যাদি মাছ। বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও এই মাছগুলো মুক্ত। তাই ভেরির মাছ মহাজনের হাত ঘুরে চালান হয় ভারতে। বাংলাদেশের চাপিলা, পমফ্রেট, রূপচাঁদা, পাবদা, মৌরলার চাহিদা প্রচুর। তাই, সেগুলোও বাংলাদেশ রপ্তানি করে। কিছুদিন আগে ত্রিপুরার আখাউড়া সীমান্তে কালোবাজারি নিয়ে সংঘাত হাওয়ায় বাংলাদেশের মাছ আসা বন্ধ ছিল। একুশদিনে ক্ষতি হয় আট লক্ষ টাকার। শুধু আগরতলাতেই প্রতিমাসে পঁচিশ মেট্রিক টন বাংলাদেশের মাছ আসে যার মূল্য প্রায় পঁচাত্তর লক্ষ টাকা। করোনার জেরে মাছের আমদানি রপ্তানি বন্ধ। রুজি রোজগার নিয়ে যেমন চিন্তিত মাছ ব্যাবসায়ীরা, ঠিক তেমনই শূন্য এপার বাংলার বাঙালির পাত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর