× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৮ মে ২০২৪, বুধবার , ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিপদের দিনে মানুষের পাশে

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২১ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার

দু’টো ছবি। একেবারেই আলাদা। একদিকে বিপর্যস্ত মানবতা। সন্তান পিতা-মাতাকে চেনেন না। দাফনে বাধা। চিকিৎসার জন্য  মানুষের হাহাকার। এম্বুলেন্সে মৃত্যু। অন্যদিকে, আর্তমানবতার জন্য মানুষের লড়াই।
ত্রাণ হাতে দুয়ারে দুয়ারে ছুটছেন একদল লোক। অচেনা-অজানা মানুষের দাফনেও এগিয়ে আসছেন তারা। এই পরিস্থিতিতে অনেকটাই বিপর্যস্ত দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা। অভিযোগও রয়েছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। যদিও তাদের বড় অংশই  জানবাজি রেখে লড়ছেন করোনার বিরুদ্ধে। মৃত্যুর মিছিলেও যোগ হয়েছে তাদের নাম। আক্রান্ত হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী। এই যখন অবস্থা তখন একদল চিকিৎসক অনলাইনে, সোস্যাল মিডিয়ায়, টেলিফোনে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নিরন্তর। দিন নেই, রাত নেই রোগীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তারা।  অনিক হাসানের কথাই ধরা যাক না কেন। গভীর রাত। বাবার হঠাৎ অসুস্থতায় দিশাহারা তিনি। কী করবেন ভেবে অস্থির। Desperately seeking Doctor (ডিএসডিআর) ফেসবুক গ্রুপে সমস্যার কথা জানিয়ে পোস্ট করেন। তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানও পান তিনি। এজন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ডিএসডিআর এবং ডা. আঁখি আক্তার আন্নীর প্রতি। অনলাইনে চিকিৎসা কার্যক্রম নিয়ে সবচেয়ে বড় গ্রুপ ডিএসডিআর।  এই গ্রুপের এডমিন ভাসকুলার সার্জন ডা. সাকলায়েন রাসেলের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক কাজ করে যাচ্ছেন নিরন্তর। টেলিমেডিসিন সেবাও দেয়া হচ্ছে এখান থেকে।
এমন আরো বেশ কয়েকটি অনলাইন ভিত্তিক গ্রুপ বা পেজ রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কখনো চিকিৎসকরা অনলাইনে পরামর্শ দিচ্ছেন। কখনো বা সুনির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা লাইভ শোতে অংশ নিচ্ছেন। এসব আলোচনার উপস্থাপনাতেও রয়েছেন চিকিৎসকরা। যে কারণে তা পাচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব। এমন  অনলাইন গ্রুপে রাতদিন সক্রিয় ডা. আঁখি আক্তার আন্নী। এই ডেন্টাল সার্জন নিজ চেম্বারে জরুরি রোগীদের সেবা দেয়ার পাশাপাশি বাকি প্রায় পুরোটা সময় সক্রিয় থাকছেন অনলাইনে। ডিএসডিআর, হেলথম্যানে দেখা যায় তার উপস্থিতি। কখনো উপস্থাপনা করছেন, কখনো রোগীদের পরামর্শ দিচ্ছেন, কখনো বা তারা যেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পাশে দাঁড়াতে পারেন তা নিশ্চিত করছেন। তিন/চার ঘণ্টা ঘুম বাদে বাকি সময়টা তিনি কাজ করে যাচ্ছেন রোগীদের সেবায়। ডা. আঁখি আক্তার বলেন, সংকটের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তো চিকিৎসকের কাজ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আমাদের নানা ভাবে সহায়তা করছেন। পরিবারের সহযোগিতাও পাচ্ছি।
পুরনো ঢাকার মেয়ে আঁখি আক্তার আন্নী পড়ালেখা করেছেন দোলাইরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়, হলিক্রস কলেজ, সিটি ডেন্টাল কলেজে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ট্রেনিং করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন তিনি। স্বামী ডা. মো. মাহমুদ হাসান একজন ডেন্টাল সার্জন। মো. আউয়াল ও রাত্রীর কনিষ্ঠ সন্তান আঁখি আক্তার আন্নী ছোট বেলা থেকেই চাইতেন বিপদের দিনে মানুষের পাশে কাজ করতে। আন্নী যে কয়টি অনলাইন মাধ্যমে কাজ করছেন তার একটি হেলথম্যান। এখানে ৭০ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। এটি পেইড সার্ভিস হলেও করোনাকালে বিনামূল্যে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। যেখানে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক রোগী স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। হেলথম্যান-এর এডমিন হিসেবে রয়েছেন মেডিকেল শিক্ষার্থী নাকিব কামরান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর