× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তারকা যখন ঘরে /আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলা বেড়ে গেছে - অপি করিম

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
২১ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গোটা পৃথিবীতেই সব কিছু প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। আমাদের দেশেও প্রতিদিন এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। তাই ঘরে থাকছেন সবাই। ঘরে থাকছেন শোবিজ তারকারাও। জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিমও এই সময়টায় ঘরে অবস্থান করছেন। বের হচ্ছেন না একদমই। এ পরিস্থিতির আগে তিনি ‘কালো জলের কাব্য’ শীর্ষক মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছিলেন। এই সময়ে নাটকটির বেশ কয়েকটি শো হওয়ার কথা ছিল।
ঈদের বিশেষ নাটকেও কাজের কথা ছিলো অপির। কিন্তু সবই করোনায় আটকে গেছে। তবে ঘরে বসেই বিভিন্নভাবে সময় কাটাচ্ছেন অপি। এ অভিনেত্রী বলেন, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি। তবে এরমধ্যেই আমাদের ফার্মের কাজ করছি অনলাইনে। এছাড়া নিজের আনন্দের জন্য বাসায় বই পড়ি, ছবি দেখি, ছবি আঁকার চেষ্টা করি, লেখালেখি করি। আর টুকটাক রান্না করি, গাছ লাগাই। বাসায় নানা কাজে সময় চলে যাচ্ছে। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলা বেড়ে গেছে। কাছের মানুষদের নিয়ে কিছু গ্রুপ আছে, সেখান থেকে সবাই মিলে সাধ্যমতো চেষ্টা করছি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। অপি আরো বলেন, আগে বাসায় ফিরতাম খুব ক্লান্ত হয়ে। চাইলে অনেক কিছুই মনোযোগ সহকারে করা হতো না। এখন যা-ই করছি যথাসময়ে, একাগ্রচিত্তে, যথেষ্ট সময় নিয়ে করছি। সেটা ধর্মচর্চা হোক বা রান্নাবান্না। আর অহেতুক আলোচনা, বিবাদ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখছি। মানে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে যথেষ্ট নজর দিচ্ছি। এটা একেবারেই নতুন অভ্যাস। তবে করোনাকালে আমার নতুন উপলব্ধি হলো আসলে আমরা ঘরের মানুষগুলোকে কতটা চিনি? স্বামী-স্ত্রী-সন্তান-বাবা-মা পরিবারের একজন আরেকজনের কাছে পুরোপুরি অপরিচিত! আমার তো মনে হয় একজন অন্যজনকে বুঝতে না পারায় পরিবারে অশান্তি হচ্ছে। আবার অনেক বন্ধু ব্যতিক্রমও বলছে। বলছে সম্পর্ক গাঢ় হচ্ছে। আরেকটি উপলব্ধি হলো, আমাদের ১৬ কোটি মানুষের সবাই খেতে পারছে তো? মিডিয়া বা অন্যান্য পেশার সঙ্গে জড়িত নিম্ন আয়ের অনেক মানুষের কাজ নেই। তারা কীভাবে চলছেন এটা ভীষণ ভাবাচ্ছে। খাবার, ওষুধ কিনতে পারছেন তো? এছাড়া উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত যাদের কথাই বলি না কেন, করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক যে ধাক্কাটা আসবে, সেই সময়ে কে কীভাবে সামলাবো, এই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। অপি আরো বলেন, একটি কথা সবিনয়ে বলতে চাই। সেটা হলো, করোনার এই কঠিন সময়ে যার যেমন সামর্থ্য আছে আমরা যেন নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়াই। কারণ তাদের অবস্থা ভালো নয়। সবাই মিলে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করলে কিছুটা হলেও সহজ হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর