কাতার এয়ারওয়েজের ক্রুরা এখন থেকে আপাদমস্তক সুরক্ষামূলক পোশাক পরে থাকবেন বিমানের ভেতর। সেফটি গগলস, গ্লোবস, মাস্কই হবে এখন থেকে তাদের সঙ্গী। করোনাভাইরাস বিস্তারের প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত, যাত্রীদের সঙ্গে ক্রুদের শারীরিক সংস্পর্শ যতটা সম্ভব কমানোর জন্যই এই পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার এয়ারওয়েজ। বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের খাবার টেবলের মধ্যে দেওয়া হবে না। দেওয়া হবে ট্রে তে করে। যাত্রীরা চাইলে ‘ডু নট ডিসটার্ব’ মুড চালু করে রাখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তার সঙ্গে কেউ কোনো যোগাযোগ করবেন না।
যাত্রী ও ক্রুদের সারিতে রাখা হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এ খবর দিয়েছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
খবরে বলা হয়, কেবিন ক্রুরা কয়েক সপ্তাহ ধরে সুরক্ষামূলক পোশাক পরে থাকছেন। তবে এখন সেটি অন্য মাত্রায় চলে যাবে। কভিড-১৯ সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।
কাতার এয়ারওয়েজের সিইও আকবর আল বাকের বলেন, ‘এয়ারলাইন হিসেবে আমরা সর্বোচ্চ মাত্রার হাইজিন মানদণ্ড মেনে চলার চেষ্টা করি, যেন এই কঠিন সময়ে আমরা নিরাপদে যাত্রীদের বহন করতে পারি। এর মাধ্যমে আমরা আরও জোরারোপ করছি যে, যাত্রীদের নিরাপত্তাই আমাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার।’
ফিলিপাইন্স এয়ারওয়েজ ও এয়ার এশিয়ার ক্রুরাও পিপিই পরিধান করছে।