চলচ্চিত্র অভিনেতা মিশা সওদাগর। পরপর দু’বার শিল্পী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। লকডাউনে তাই শুটিং না থাকলেও শিল্পীদের খোঁজ-খবর রাখছেন এই অভিনেতা। লকডাউনে তার সময় কিভাবে কাটছে জানতে চাইলে বলেন, এক মাসেরও বেশি সময় ঘরেই অবস্থান করছি। মাঝে মাঝে বের হয়ে এফডিসিতে যাই। তবে শিল্পী সমিতির বিশেষ কাজ ছাড়া বের হই না। এখন তো রমজান মাস, রোজা রাখছি, নামাজ পড়ছি। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, শিল্পীদের খোঁজ নিচ্ছি এবং ফিল্ম দেখছি।
আপনার পরিবারের সদস্যরাতো আমেরিকায়, তাদের কী খবর? মিশা বলেন, আসলে এ জন্যই বেশি মন খারাপ থাকে। তারপরও নিজেকে সামলে নিতে হয়। আপাতত কিছুই করার নেই।
প্রতিদিন তাদের সঙ্গে দু’বার করে কথা হয়। আমার বড় ছেলে থাকে টেক্সাস এবং স্ত্রী ও ছোট ছেলে নিউ ইয়র্কে। মোটামুটি ভালোই আছে তারা। তবে বের হতে তেমনটা পারছে না। তারা যে যে বাসায় থাকে তা পুরোই কোয়ারেন্টিন। লকডাউনের আগে শেষ কী কাজ করেছেন? তিনি বলেন, চ্যানেল আইয়ের একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলাম। এরপর ‘শান’ ও ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবিগুলির শুটিং করেছি। শাহীন সুমন পরিচালিত ‘একটা প্রেম দরকার’ ছবির ডাবিংও করেছি। আরো তিনটি ছবির শুটিং হওয়ার কথা ছিল এর মধ্যে। এগুলো অনন্য মামুন, মালেক আফসারী ও ওয়াজেদ আলী সুমনের। এখন তো সবই আটকে রয়েছে।
অবস্থা ভালো না হলে কিছুই আর শুরু হচ্ছে না। করোনাভাইরাসের কারণে চলচ্চিত্রাঙ্গনের যে ক্ষতি হচ্ছে তা কাটিয়ে ওঠা হবে কী করে? মিশা সওদাগর বলেন, আমরা তো ক্ষতির মধ্যেই ছিলাম। এখন সেটা আরো বেড়ে গেল। কীভাবে ঠিক হবে সেটা এখনই বলা মুশকিল। পুরনো কথা আবারো বলতে হয়, সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে হয়তো ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে। পুরোপুরি সমাধানের জন্য প্রয়োজন আমাদের মাল্টিপ্লেক্স আইন নির্ধারণ করে দেয়া। আগে প্রযোজক বাঁচাতে হবে। প্রযোজক ছাড়া ইন্ডাস্ট্রি বাঁচবে না। চলতি সিনেমাগুলোকে ঠিকমতো প্রচার এবং সঠিক সময়ে মুক্তি দিতে পারলে হয়তো পরিস্থিতি কিছুটা ফিরবে। তবে পরিবর্তন হতে সময় লাগবে।