× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চ্যানেল আইতে ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ বেদনা’

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
২২ মে ২০২০, শুক্রবার

পৃথিবী আজ বিপন্ন বিষন্ন। সব জাতিগোষ্ঠিকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে জীবনের সমীকরণ। এ যাবৎকালের ভয়াবহতম মহামারিতে তছনছ হয়ে গেছে সবকিছুু। চারদিকে শুধু করোনার অভিঘাত। পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড -১৯ এ। অদৃশ্য ও ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এক ভাইরাসের কাছেই মানুষ আজ বড় বেশি পরাজিত। পৃথিবীর দেশে দেশে টান পড়েছে অর্থনীতিতে। খাদ্যে।
বাণিজ্যে। চলাচলে। স্বাস্থ্যে। শিক্ষায়। মানুষ যেন আর মানুষ নেই। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে স্থায়ী উত্তরণ ঘটবে এমন কোনো আশার আলো এখনো জ্বলেনি কোথাও। নেই শুভবার্তা। এর ভেতরেই জীবনকে নিয়ে হাঁটতে হচ্ছে মানুষকে। এর ভেতরেই স্বপ্ন দেখতে হচ্ছে। এর ভেতরেই রচনা করতে হচ্ছে আগামীর সম্ভাবনা। পৃথিবীর সব দেশের বাস্তবতা যা-ই হোক। বাংলাদেশের বাস্তবতা একটু ভিন্ন।

কারণ, যুগ যুগ ধরে যাবতীয় প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে টিকে থাকাই বাঙালি জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য। কৃষি ও গ্রামপ্রধান বাংলা যুগ যুগ ধরে প্রাকৃতিক ও মানুষসৃষ্ট বহু বিপর্যয় ও মহামারি পার করেছে। বহু জীবন ও ত্যাগের বিনিময়ে নিজস্ব ভূমি, সংস্কৃতি, ভাষা ও জাতিগত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। পৃথিবীর কাছে হতদরিদ্র ও তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় জাতির গৌরব অর্জন করেছে। যে কোনো দুর্যোগে বাংলাদেশের মানুষের টিকে থাকা ও উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তারা শত বিপর্যয়ের পরও হাসতে পারে। এবারো পারবে। সিডর আইলার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মানুষ ভুলতে পারেনি। এর মাঝে আঘাত হেনেছে সুপার সাইক্লোন আম্পান। এখনো দেশের উপকুলীয় জেলাগুলোয় প্রাকৃতিক ওই দুর্যোগের অভিঘাত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

এখনো মানুষের জীবন জীবিকায় রয়ে গেছে তার কঠিন প্রভাব। লবণাক্ত এলাকায় ফসল উৎপাদন করতে না পেরে দুর্বিসহ সংকটে পড়ছে মানুষ। কিন্তু প্রতিনিয়ত সংকটে চলা মানুষের জন্য এই কষ্টও যেন কোনো কষ্ট নয়। তারা পার হয়ে যায় জীবনের পথ। বাংলাদেশের কৃষকের কাছে প্রতিকূলতা তাই স্বাভাবিক। প্রতিনিয়ত তাকে পাড়ি দিতে হয় বিপদসঙ্কুল পথ। মাটির বুক  থেকে ফসল ফলিয়ে আনা চাট্টিখানি কথা নয়। শ্রমে ঘামে কৃষক এক অনন্য মানুষ। ঈদে পার্বণে উৎসবে কৃষকই যুগিয়ে দেয় মূল উপকরণ মুখে খাবার। কিন্তু আমরা কি ভেবেছি কৃষকের ঈদের আনন্দ কতটুকু, কতটুকু তার মলিন বেদনার দিন! এসব নিয়েই শাইখ সিরাজের পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ বেদনা’ চ্যানেল আইতে প্রচার হবে ঈদের পরদিন বিকাল সাড়ে চারটায়। এ অনুষ্ঠানে থাকছে কৃষকদের অংশগ্রহণে মজার বিভিন্ন খেলা, প্রতিবেদন ও আরো নানা চমক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর