দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩২ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৯৪ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ২০৫ জনে দাড়িয়েছে। শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, ৪৭টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৯ হাজার ৯৯৩টি। পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ হাজার ৭২৭টি।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৮৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ছয় হাজার ১৯০ জন। তিনি বলেন, মৃত ২৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে নয় জন, বরিশাল বিভাগে এক জন, ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছেন এক জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ১৩ জন, বাসায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে এক জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সের মধ্যে দুই জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন পাঁচ জন। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২২৫ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন চার হাজার ৬০ জন। হোম ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৫০৭ জন। অদ্যাবধি কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই লাখ ৫৮ হাজার ৯৪ জন। কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন দুই লাখ ৩ হাজার ১৭১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৪ হাজার ৯২৩ জন। তিনি বলেন, সারাদেশে ৬৪ জেলায় ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত। তৎক্ষণিকভাবে এ সব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে। তিনি আরও বলেন, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। ঢাকার ভেতরে রয়েছে সাত হাজার ২৫০টি। ঢাকা সিটির বাইরে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা আছে। আইসিইউ সংখ্যা আছে ৩৯৯টি, ডায়ালাসিস ইউনিট আছে ১০৬টি।