চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রোজিনা। দীর্ঘদিন নতুন কোনো চলচ্চিত্রে নেই। lতবে চলচ্চিত্র বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে। এদিকে করোনা ভাইরাসের লকডাউনে গত ২২ই মার্চ থেকে সবার মতো তিনিও ঘরেই আছেন বলে জানান। এই সময়টা কীভাবে কাটছে? তার ভাষ্য, আলহামদুলিল্লাহ এখনো ভালো আছি। মাচের্র ২২ তারিখ থেকে বাসায় আছি। মাঝে দুই দিন বেরিয়েছিলাম প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ের জন্য। এখন নিজেই বাসার কাজ করছি।
ইফতার তৈরি করা, নামাজ পড়া, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের খবর নেয়া, দুটো পোষ্য প্রাণী আছে তাদের খাওয়ানো এসব করতেই সময় চলে যায়। বাসায় আগের চেয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে। করোনায় কী উপলব্ধি এলো? তিনি বলেন, মানুষ কত অসহায়। ক্ষমতাবান মানুষ, দেশ, যারা মিসাইল মেরে অন্য দেশকে উড়িয়ে দিচ্ছে কোথায় আজ তারা? কিছু করতে পারছে? প্রকৃতি হাসছে। সমুদ্রের বালিতে ছোট ছোট ফুল হয়েছে। মানুষ ঘরে বসে আছে। যতই দিন যাচ্ছে ততই মানুষ ক্রেজি হয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতিকে নষ্ট করছে। এখন আল্লাহ আমাদের শিক্ষা দিচ্ছেন, প্রকৃতির ভারসাম্য প্রয়োজন। আমরা পরিবারকে সময় দিতে চাইতাম না, এখন দিচ্ছি। আরেকটা হচ্ছে সাহায্য করার মানসিকতা। তোমার আছে তুমি আরেকজনকে দাও, এই শিক্ষাটাও হচ্ছে। তবে আমাদের দেশের মানুষের যে মনোভাব মনে হয় না তারা বদলাবে। কিন্তু আমি চাই পরিবর্তন হোক। বিপদ আসে বিপদ চলেও যায়। করোনার এদিনও কেটে যাবে। শিক্ষাগুলো থেকে যাবে। চলচ্চিত্রে করোনার কেমন প্রভাব দেখছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুধু চলচ্চিত্র নয় বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রেই করোনার প্রভাব পড়ছে, পড়বে। চলচ্চিত্র তো এর বাইরে নয়। যত বড় ব্যবসা তত বড় ক্ষতি। ঘোষণা দিয়ে যখন চলচ্চিত্র ছেড়ে দেই ১৯৯৩ সালের দিকে তখনো হাজারের ওপরে সিনেমা হল ছিল। এখন হল তো নেই বললেই চলে। ঈদ উপলক্ষে হয়তো দেড়শোর মতো হল চলত। আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই অভিনেত্রী ঈদ নিয়ে বলেন, ঈদেও আমাদের ঘরবন্দি থাকতে হবে কখনো ভাবিনি। তবু, আমাদের নিজের জন্য এবং নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ঘরে থাকার বিকল্প নেই।