× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কোকেইন কিনতে বিশ্বকাপ পদকটাও বিক্রি করে দেন এই ব্রাজিলিয়ান

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২৪ মে ২০২০, রবিবার

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের অন্যরকম মাহাত্ম্য আছে। ইউরোপ, এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার সেরা ক্লাবের মধ্যে হয় এই লড়াই। অনেক বড় ফুটবলারের ক্লাব বিশ্বকাপ নেই। তবে অখ্যাত হয়েও ব্রাজিলের ফ্লাভিও দোনিজেতের সৌভাগ্য হয়েছিল ট্রফিটাতে চুমু খাওয়ার। গলায় ঝুলিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নের মেডেল।

২০০৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ী লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জেতে ব্রাজিলের ক্লাব সাও পাওলো। ওই দলের অন্যতম সদস্য দোনিজেত। কিন্তু নিজের গৌরবগাঁথা পদকটি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। কোকেইনের টাকা জোগাড় করতে বেচে দিয়েছিলেন।

৩৬ বছর বয়সী ডিফেন্ডার দোনিজেত অতিমাত্রায় কোকেইনে আসক্ত হয়ে পড়েন।

এতটাই যে, ২০০৯-১৫ পর্যন্ত ৬ বছর ফুটবল খেলতে পারেননি। বর্তমানে খেলছেন পর্তুগিজায়। সম্প্রতি গ্লোবো স্পোর্তের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে নিজের অন্ধকার সময়ের কথা তুলে ধরেছেন দোনিজেত। তিনি বলেন, ‘মাদকের সংস্পর্শে আসার পর সবকিছু হারাতে থাকি। শুরুতে অল্প নিয়েছি। কিন্তু কোকেইন আস্তে আস্তে আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। টাকা পেলেই তা দিয়ে মাদক কিনেছি।’

ফুটবল খেলে যা আয় করতেন সবই চলে যেত নেশার পেছনে। এমনকি জীবনের শ্রেষ্ঠতম অর্জন ক্লাব বিশ্বকাপ মেডেলটাও তিনি বিক্রি করে দিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। ৭০০০ রিয়েসে (ব্রাজিলিয়ান মুদ্রা) সেটা বেচে নেশার টাকা জোগাড় করেন দোনিজেত। তিনি বলেন, ‘ড্রাগস কিনতে ওটা বেচে দিই ৭০০০ হাজার রিয়েসে (সাড়ে তিন হাজার ডলার)। টাকাটার বেশিরভাগ খরচ হয় কোকেইন কিনতে। প্রথম দফায় ১ হাজার রিয়েলের কোকেইন নেই। দুই দিনে শেষ হয়ে যায়। টাকা যত পেয়েছি মাদকের প্রতি আসক্তিও তত বেড়েছে।’

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর