× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কিশোরগঞ্জে নতুন করে ১১ জন শনাক্ত, আইসোলেশনে শিশুর মৃত্যু

করোনা আপডেট

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
২৪ মে ২০২০, রবিবার

কিশোরগঞ্জ জেলায় সর্বশেষ রোববার বিকালে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে নতুন করে আরো ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৭ জন। গত মঙ্গলবার (১৯শে মে) জেলায় সংগৃহীত মোট ১২৯ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ) এ পাঠানো হয়েছিল। রোববার বিকালে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়। এই ১২৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট ১১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
শনিবার পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল ২৬৬ জন। রোববার নতুন করে আরো ১১ জনের করোনা শনাক্ত হওয়ায় বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৭ জনে।
এদিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে শনাক্তকৃত ২২ মাস বয়সী কোভিড-১৯ পজেটিভ শিশু কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোর ৪টার দিকে মারা গেছে। তবে গত মঙ্গলবার (১৯শে মে) সংগৃহীত তার দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
এছাড়া নতুন করে জেলায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হননি। এর আগে জেলায় সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ছিল ১৮৫ জন।
ফলে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা একই রয়ে গেছে। বর্তমানে জেলায় মোট ৯১ জন করোনা রোগী এবং চারজন সাসপেক্টটেড বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। এর মধ্যে অন্য জেলা থেকে আগত ৭ জন করোনা পজেটিভ রয়েছেন।
রোববার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে মঙ্গলবার (১৯শে মে) সংগৃহীত ১২৯ জনের নমুনার মধ্যে ১১৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তিনজনের রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে। এছাড়া বাকি ১১ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।
নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া এই ১১ জনের মধ্যে জেলার তাড়াইল উপজেলার ২ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলার একজন, কুলিয়ারচর উপজেলার একজন, ভৈরব উপজেলার ৩ জন এবং বাজিতপুর উপজেলার ৪ জন। ফলে রোববার বিকাল পর্যন্ত পাওয়া নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ২৭৭ জনের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পজেটিভ এসেছে।
উপজেলাওয়ারী হিসাবে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ২৬ জন, হোসেনপুর উপজেলার ৭ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ২৪ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৩৫ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ৯ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১৬ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১২ জন, ভৈরব উপজেলায় ৮২ জন, নিকলী উপজেলায় ৫ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ২১ জন, ইটনা উপজেলায় ১২ জন, মিঠামইন উপজেলায় ২৫ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে ৮ জন মৃত ব্যক্তি রয়েছেন। মারা যাওয়া ৮ জন হলো, করিমগঞ্জ উপজেলার জঙ্গলবাড়ি মুসলিমপাড়া গ্রামের সেলিম মিয়া (৪৬), কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বড়বাজার টেনু সাহার গলি এলাকার নিতাই (৬০), হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পানান গ্রামের ১০ বছর বয়সী শিশু মিজান, কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের মাতুয়ারকান্দা গ্রামের মোস্তফা মিয়া (৬০), কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের বাট্টা গ্রামের তরুণ ভূইয়া (৪০), বাজিতপুর পৌরসভার চারবাড়িয়া এলাকার মো. আল আমিন মিয়া (৬০), ভৈরব পৌরশহরের চণ্ডিবের দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা মৎস্য ব্যবসায়ী অমিয় দাস (৬০) এবং মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ঘাগড়া মীরহাটির রফিকুল ইসলাম (২৭)।
এছাড়া ঢাকা শিশু হাসপাতালে শনাক্তকৃত ২২ মাস বয়সী কোভিড-১৯ পজেটিভ শিশু কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোর ৪টার দিকে মারা যায়। মঙ্গলবার (১৯শে মে) সংগৃহীত তার দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। সে অন্যান্য জন্মগত ত্রুটিতে ভুগছিল।
এছাড়া গত বৃহস্পতিবার (২১শে মে) বিকালে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা হুমায়ুন সিদ্দিকী (৫৫) নামে এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার পর ওইদিনই (২১শে মে) পাওয়া তার দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর