পশ্চিম আকাশে উঁকি দিচ্ছে ঈদের চাঁদ। করোনার এই ক্রান্তিকালে ঈদটাও যেন মলিন। খেটে খাওয়া মানুষগুলো করোনার কবলে কর্মহীন। খেয়ে না খেয়ে কাটছে তাদের দিন। অসহায় মানুষগুলোর মুখে একটু হাসি ফোটাতে কাজ করছে নিরঞ্জন স্মৃতি ফাউন্ডেশন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাসিমুল হাসান নাহিদ বলেন, ঈদের দিনটায় চাই না তারা অনাহারে থাকুক। খুশির এই দিনটায় তাদের থালিটা ভরে উঠুক একটু ডাল-ভাতে। নিরঞ্জন স্মৃতি ফাউন্ডেশন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ি নামক এলাকার দরিদ্র পীড়িত ১২০টি পরিবারের হাতে ঈদ উপহার তুলে দিয়েছে।
এই ঈদ উপহারে ছিল ৫ কেজি চাল, আলু ২ কেজি, ডাল ১/২ কেজি, পিয়াজ ১/২ কেজি, সয়াবিন তেল ১/২ কেজি, চিনি ১/২ কেজি, লাচ্ছা ১/২ কেজি, দুধের প্যাকেট ১ টি ও সাবান ১টি। নিরঞ্জন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের নিজস্ব কোন আয়ের উৎস নেই। আপনাদের সহযোগিতায় চলে আমাদের কার্যক্রম। আপনাদের ভালোবাসা আমরা পৌঁছে দেই অসহায়দের কাছে। আপনাদের সহযোগিতা একান্তকাম্য।
সহ সভাপতি শাহরিয়ার জামান শিশির বলেন, আমরা চাই করোনার এই ক্রান্তিকালে পুরোসময়টায় তাদের পাশে থাকতে। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চাই। এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে অনুরোধ বাড়িয়ে দিন আপনার হাত। (সাহায্য পাঠাতে ০১৭৯৪৯৯৫৭৫৮ বিকাশ)
এক নজরে নিরঞ্জন স্মৃতি ফাউন্ডেশন সংগঠনের সদস্যরা ২০০৯ সালে মাধ্যমিক পাস করে শঠিবাড়ি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। তাদের এক বন্ধু নিরঞ্জন সাহা হঠাৎ মৃত্যুবরণ করেন ২০১১ সালে। সেই বন্ধুর স্মরণেই গড়ে তোলেন তারা সংগঠনটি। এরপর থেকে করে যাচ্ছেন নানা দাতব্য কার্যক্রম। তারা প্রতিবছর ঈদ সামগ্রী বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যায় অসহায়দের খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেবার পাশাপাশি এলাকার অসহায় মানুষদের বিপদের অবলম্বন হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সংগঠনটির সভাপতি জীতেন মহন্ত বলেন, এই ক্ষুদ্র কাজটুকু করে যেতে চাই আজীবন। এলাকার দরিদ্র মানুষদের মুখে হাসি ফোটানোই আমাদের লক্ষ্য।