× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘উহানের ল্যাবে করোনাভাইরাস ছিল, তবে সেগুলো কভিড-১৯ নয়’

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) মে ২৪, ২০২০, রবিবার, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন

বাদুড়ের শরীরে থাকা তিনটি জীবন্ত করোনা ভাইরাস নিয়ে কাজ করছিল উহানের ভাইরোলজি ল্যাব। কিন্তু সেগুলোর কোনোটিই বিশ্বজুড়ে কভিড-১৯ মহামারি সৃষ্টির জন্য দায়ী নয়। কভিড-১৯ সৃষ্টিকারী সারস-কভ-২ ভাইরাসের সঙ্গে ওই তিনটি ভাইরাসের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজির পরিচালক ওয়াং ইয়ানি শনিবার চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত টিভি চ্যানেল সিজিটিএনকে এমনটা জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা সম্প্রতি দাবি করেছেন, ওই ল্যাব থেকেই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে কভিড-১৯ সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাস। এমন দাবি ‘সম্পূর্ণ জল্পনা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ইয়ানি। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। গত ডিসেম্বরে উহানেই সর্বপ্রথম মানবদেহে করোনা (সার্স-কভ-২) শনাক্ত হয়।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির উপাত্ত অনুসারে, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে অন্তত ১৮৮টি দেশ বা অঞ্চলে এর সংক্রমণ ঘটেছে। প্রাণ হারিয়েছেন ৩ লাখ ৪১ হাজারের বেশি করোনা রোগী। আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ লাখের বেশি। বেশিরভাগ বিজ্ঞানীদের ধারণা, উহানের এক বন্যপ্রাণী বেচাকেনার বাজার থেকে মানবদেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটেছে। মূলত বাদুড়ের শরীর থেকেই মানুষের মধ্যে এর বিস্তার ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিযোগ করেন, উহানের ভাইরোলজি ল্যাব থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। তিনি ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও প্রাথমিকভাবে তাদের কাছে ল্যাব থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ থাকার দাবিও করেন। পরবর্তীতে অবশ্য প্রমাণ থাকার দাবি থেকে পিছু হটেন পম্পেও। সম্প্রতি আরো অনেকে উহানের ল্যাব থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ করেছেন। যদিও বিশ্বজুড়ে বেশিরভাগ বিজ্ঞানীরা এই দাবির সঙ্গে একমত নন। অভিযোগকারীদের দাবি খারিজ করে দিয়ে ইয়ানি জানান, উহানের ল্যাবে যে তিনটি ভাইরাস ছিল সেগুলোর সঙ্গে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের সর্বোচ্চ ৭৯.৮ শতাংশ মিল পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, আমাদের ইন্সটিটিউটটি অজ্ঞাত নিউমোনিয়ার প্রথম নমুনা পায় গত বছরের ৩০শে ডিসেম্বর। এর আগে ভাইরাসটি সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা ছিল না, আমরা এটি এর আগে দেখিনি, গবেষণা করিনি বা রাখিনি। আদতে, বাকি সকলের মতো আমরাও জানতাম না যে, এই ভাইরাসের কোনো অস্তিত্ব রয়েছে। এটা যখন আমাদের ল্যাবে ছিলই না, তখন সেটা ল্যাব থেকে বের হবে কিভাবে? প্রসঙ্গত, কভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় চীনকে দায়ী করেছে মার্কিন প্রশাসনসহ একাধিক সরকার। এই মহামারিকে ঘিরে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরো তীব্র হয়েছে। ভাইরাসটির উৎপত্তি খতিয়ে দেখতে একটি আন্তর্জাতিক স্বাধীন তদন্তের বিল পাস হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্ষিক অধিবেশনে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর