× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট / চীনের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অচলাবস্থায় প্রস্তুত ভারত

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) মে ২৫, ২০২০, সোমবার, ৭:১০ পূর্বাহ্ন

লাদাখে বেশ কিছু পয়েন্টে মুখোমুখি অবস্থানে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী। ওদিকে সীমান্ত কর্মকান্ড ভারত বন্ধ করবে না, সরকারের সিনিয়র পর্যায়ে যেন এমনটাই সংকল্পবদ্ধ। যেসব এলাকায় উভয় দেশের সেনারা তাঁবু পুঁতেছে, করছে আনুষঙ্গিক কাজ, সেসব এলাকায় জনবল বাড়ানো হচ্ছে, সরঞ্জাম বাড়ানো হচ্ছে। এতে মনে হচ্ছে চীনের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে এক অচলাবস্থার জন্য প্রস্তুত ভারত। কূটনৈতিক যোগাযোগ ও মাঠ পর্যায়ে সেনাবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান পাওয়া যায় নি। এই অচলাবস্থার জন্য চীনা ব্যবস্থাকে দায়ী করে ভারত সরকার শুধু বিবৃতি দিয়েছে। সাংবাদিক ইন্দ্রানি বাগচির লেখা প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।


এতে আরো বলা হয়, রোববার চীনে বার্ষিক দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলন করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। কিন্তু এ সময়ে তিনি একবারের জন্যও ভারতের নাম উল্লেখ করে নি। নয়া দিল্লিতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকেও কোনো মন্তব্য আসে নি। শুক্রবার বেইজিংয়ে শুরু হয়েছে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের অধিবেশন। ফলে তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে কোনো অর্থপূর্ণ আলোচনা হবে বলে মনে হয় না।

ওদিকে মাঠপর্যায়ে গালওয়ানে যে অচলাবস্থা তার সঙ্গে যুক্ত ভারতের অবকাঠামোগত কর্মকান্ড। এর মধ্যে রয়েছে ধারচুক ভায়া শাইওক থেকে দৌলতবেগ ওলডি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ। এই দৌলত বেগ ওলডি এখন ভারতের অবতরণ খাতে উল্লেখযোগ্য একটি অগ্রগতি। আক্ষরিক অর্থে এটা হলো বিশে^র সবচেয়ে উঁচু এয়ারস্ট্রিপ। সেখানে ভারত সি-১৩০ জে এয়ারক্রাফট অবতরণ করাতে পারে। এতে আকাশে কৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতের। এটা হলো সেই সড়ক যা ভারতকে কারাকোরাম মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করবে। কিন্তু চীন এতে আপত্তি জানাচ্ছে। এই সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালে। ভারতের নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, চীন সীমান্তে আরো অস্থিরতার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত ভারতের। সীমান্তে চীন যেসব কাজ করছে তার জবাবে ‘সেকেন্ড মুভার’ হিসেবে ভারত কাজ করছে। গত চার বছরে সীমান্ত সংলগ্ন সড়কগুলোতে এবং ল্যান্ডিং স্ট্রিপে গ্যাসের কাজ করেছে। এ জন্য লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর ভারতীয় সেনা মোতায়েন দ্রুততর ও আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। ফলে ঘন ঘন সীমান্তে চীন যে আগ্রাসী টহল দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম হচ্ছে ভারত। চীনের সেনা মোতায়েন ও তাদের আচরণের কারণে মাঝে মাঝে ভারতও আগ্রাসী অবস্থান নিচ্ছে। অপরিহার্যভাবে এতে আরো মুখোমুখি হয়ে পড়ছে দু’পক্ষ।

বর্তমান সঙ্কটের শুরু মে মাসের প্রথম সপ্তাহে। এ সময়ে উভয় পক্ষই এলএসির উভয় পাশে তাদের টহল দিচ্ছিল। ভারতের জন্য গালওয়ানে প্রবেশ করা ছিল নতুন ব্যাপার। কিন্তু একইভাবে পাঙ্গোং সো নদীর উত্তর তীরে চীনের অনুপ্রবেশ নিয়ে সমানভাবে সচেতন ছিল তারা। ৯ই মে সিকিমে আকস্মিকভাবে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে ঘুষাঘুষি হয়।
সঙ্কটটা দোকলামের মতো হতেও পারে, নাও হতে পারে। এসব ঘটছে জানাশোনা এলাকায়, যেখানে প্রায়শই সংঘাত দেখা দেয়। ভুটান সীমান্তের দোকলামের মতো নয় বিষয়টি। তবে দোকলামের মতো এখানেও বইজিং থেকে মৌখিক আগ্রাসন আসছে। সেটা যেমন আসছে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে, তেমনি আসছে গ্লোবাল টাইমসের মতো সরকারি মিডিয়া থেকে। তবে ২০১৭ সালের মতো নয়াদিল্লি চুপচাপ রয়েছে। সূত্রগুলোর মতে, এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর