করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষামূলক ব্যবহার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সম্প্রতি এক গবেষণা প্রতিবেদনে ওষুধটি ব্যবহারে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা প্রকাশের পরপরই এমন সিদ্ধান্ত নিলো সংস্থাটি। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের পাশাপাশি ক্লোরোকুইনের ব্যবহারও স্থগিত রাখা হবে। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
খবরে বলা হয়, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন সাধারণত ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। তবে গত সপ্তাহে মেডিক্যাল সাময়িকী ল্যান্সেটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে সাধারণ করোনা আক্রান্তদের তুলনায় তাদের হৃদযন্ত্রঘটিত সমস্যাও বৃদ্ধি পায়। এরপরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের বৈশ্বিক ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার অংশ হিসেবে ওষুধটির ব্যবহার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলো।
সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম ঘেব্রিয়েসুস বলেন, করোনার চিকিৎসায় সম্ভাব্য ওষুধ ও টিকা খুঁজে বের করতে সংস্থাটির বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, তাদের পর্যবেক্ষণ বোর্ড ওষুধটি কতটা নিরাপদ সে বিষয়ক তথ্য পর্যালোচনা করে দেখছে। এই পর্যালোচনা চলাকালীন করোনার চিকিৎসায় এর ব্যবহার বন্ধ থাকবে। তবে অন্যান্য ওষুধের পরীক্ষামূলক ব্যবহার চালু থাকবে।
টেড্রস জানান, কেবলমাত্র করোনার চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইনের ব্যবহার নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ম্যালেরিয়াসহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় ওষুধগুলো ব্যবহারে কোনো বাধা নেই।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে করোনা সংক্রমণ রোধে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিচ্ছেন। যদিও ওষুধটি করোনার সংক্রমণ রোধে বা করোনা রোগীদের সুস্থ করে তুলতে কার্যকরী হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই।