× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘বিভীষীকাময় সেই ঈদের কথা কখনো ভোলার নয়’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৬ মে ২০২০, মঙ্গলবার



১৭ বছর আগের কথা। নিরানন্দের এক ঈদ কেটেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে ঠিক ঈদ উল আজহার আগের রাতে তুলনামূলক দূর্বল দল কানাডার কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। আর এক বুক যন্ত্রণা নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে হয়েছিল টাইগারদের।
প্রায় দেড় যুগ পর কানাডার কাছে সেই অপ্রত্যাশিত পরাজয় ও ঈদ আনন্দ মাটি হওয়ার তিক্ত স্মৃতিচারণ করলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। সোমবার ঈদ উল ফিতরের রাতে ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ইউটিউব লাইভে ক্রিকেটারদের ঈদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে খালেদ মাহমুদ ২০০৩ সালের কোরবানির ঈদকে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুঃখ-যন্ত্রণার ঈদ বলে অভিহিত করেছেন।
ক্রিকেটারদের ভাগ্যে সবসময় পরিবার, পরিজনদের সঙ্গে ঈদ করার সুযোগ মেলে না। কখনও কখনও জাতীয় দলের কোনো সফর, সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্ট খেলতে দেশের বাইরে ঈদ করতে হয়। এই তো গতবছর বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে লন্ডনে রোজার ঈদ করেছে টাইগাররা।
তবে সেই ঈদের ঠিক আগের দিন যদি কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে, তখন যে পুরো ঈদটাই মাটি হয়ে যায়। যেমনটা হয়েছিল ২০০৩ সালে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, সেবার দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত আইসিসি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে কানাডার কাছে ৬০ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
দিনটি ছিল ১১ই ফেব্রুয়ারি। ডাবলিনের কিংসমিডে আইসিসির সহযোগী সদস্য কানাডাকে ১৮০ রানে আটকে রেখেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ১২০ রানে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সে পরাজয় এখনও সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হয়ে আছে। ক্রিকেটাররাও চরম হতাশ হয়েছিলেন।
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘আমার খেলোয়াড়ি জীবনে একটি ঈদের কথা কখনও ভুলব না। দুঃখের একটি ঈদ ছিল সেটা। এখনও মনে আছে ঠিক ঈদের আগের রাতে আমরা কানাডার কাছে হেরে গিয়েছিলাম। একদম অপ্রত্যাশিত এক পরাজয় ছিল। আমরা কল্পনাও করিনি যে হারব। কষ্টে মুষড়ে পড়েছিল পুরো দল। মনের দুঃখে প্রায় পুরো দল পরদিন ঈদের নামাজও পড়তে যায়নি। যতদূর মনে পড়ে সুমন (হাবিবুল বাশার) আমি আর মঞ্জু (বাঁহাতি পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম) গিয়েছিলাম ঈদের নামাজ পড়তে। সেখানে গিয়ে অবশ্য অবাক হয়ে যাই। বিশাল নামাজের জামাত। অনেক মানুষ এসেছিলেন। তাদের বেশিরভাগই আমাদের স্বদেশি। সত্যি অত বিশাল জামাত দেখে অল্প সময়ের জন্য হলেও একটু অন্যরকম লেগেছিল। কিন্তু মনের দুঃখ-কষ্ট কাটেনি। সারাদিন মন খারাপ ছিল। কারও মনে এতটুকু আনন্দ ছিল না। একে তো দেশের বাইরে, তার ওপর অমন এক অপত্যাশিত পরাজয়- সব মিলে হতাশা ও দুঃখের এক ঈদ হয়ে আছে সেটা। যা ভুলব না কখনও। ঐ ঈদের নামাজ পড়ার সময়টুকুই ছিল ক্ষণিকের ভালো লাগা।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর