× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘পুরনো নেতিবাচকতার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে বিএনপি’

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) মে ২৬, ২০২০, মঙ্গলবার, ২:০৯ পূর্বাহ্ন

করোনা সংকটের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ, গৃহীত এবং বাস্তবায়িত সিদ্ধান্ত যখন দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে তখন বিএনপির নেতারা পুরনো নেতিবাচকতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা মানুষের পাশে না থেকে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মরচে ধরা সমালোচনার তীর ছুঁড়ছেন যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত। তিনি আজ তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, অধিকাংশ মানুষের মাঝে ধৈর্য্য ও শৃঙ্খলার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অনেকই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকলেও, অনেকই এসব কানে তুলছেন না, স্বাভাবিক সময়ের মতো ঘুরা ফেরা করছেন। হাটে বাজারে ভিড়-সমাগমে অংশ নিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি ও সমাজিক দুরত্ব মেনে চলছেন না। এই উদাসিনতায় নিজে ও আশপাশের সকলের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছেন। অবনতি ঘটাচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগে।
এতে শহরে-গ্রামে সর্বত্রই সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে। কাজেই দয়া করে আসুন সবাই সচেতন হই। স্বাস্থ্যবিধি ও সমাজিক দুরত্ব মেনে চলি । কারণ প্রতিকার বা সমাধান নয়, এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে ও সুরক্ষা পেতে প্রতিরোধের কোন বিকল্প নাই। আপনার সামান্যতম শৈথিল্য নিজ পরিবার ও আশপাশের সকলের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

কাদের বলেন, ঈদের সময় শহর ও গ্রামে অবাধ বিচরণ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনা সংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত উদ্যেগ ও সিদ্ধান্ত যখন বাস্তবায়িত দেশে বিদেশে প্রশংসিত, তখন মির্জা ফখরুল সাহেবরা পুরানো নেতিবাচক রাজনৈতিক বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছেন। সিয়াম সাধনের পবিত্র ঈদের দিনে মানুষের পাশে না থেকে, সাহস না যুগিয়ে তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মরচে ধরা সমালোচনায় তীর ছুড়ছেন। যা এ সময়ে অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিত। নিজেরা জনগণের পাশে দাঁড়াবেন না। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খোঁজখবর নিবেন না। অথচ মিডিয়ায় সরকারে সমালোচনা করবেন, এটাই কি বিএনপির রাজনীতি? পবিত্র ঈদের দিনেও জনগণ তাদের মুখের বিষ থেকে রেহাই পায়নি। সরকার এক দিকে করোনা সংক্রমণ রোধ ও আক্রান্তদের চিকিৎসা, আর অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষায় মনোনিবেশ করেছে। এমতবস্থায় বিএনপিকে কোন কর্মসূচিতে বাধা প্রদান মিথ্যাবাদী রাখাল বালকের গল্পের মতো।

তিনি বলেন, করোনা সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগই জনগণের পাশে থাকে। দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আওয়ামী ঐতিহ্য। করোনা সংক্রমণ থেকে ধনী গরিব কেউ রেহাই পাচ্ছেন না। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে রেহাই পেতে প্রতিরোধের জন্য সচেতনার কোন বিকল্প নেই। সামনের কঠিন সময়ে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মিলত প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আগামী কিছুদিন বাংলাদেশে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ধৈর্য্যহারা না হয়ে সাবধনতা অবলম্বন করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান করছি। যারা ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ করছেন, তাদেরও মনোবল না হারিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াইয়ে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা মনে সাহস রাখুন, ধৈর্য্য দরুন। সংকট ও দুর্যোগের সাহসী নেতৃত্ব শেখ হাসিনা ও তার সরকার আপনাদের পাশে আছে। জনগণের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এই অনিশ্চয়তার এই আধার কাটিয়ে উঠবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর