যুক্তরাষ্ট্রের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই ভেনেজুয়েলায় পৌঁছেছে ইরানের তেলের ট্যাঙ্কার। ইরানের এমন আরও মোট ৪টি তেলের ট্যাঙ্কার ভেনেজুয়েলায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। প্রথম ট্যাঙ্কারেই ১০ লাখ ব্যারেলের চেয়েও বেশি জ্বালানী রয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা পার হয়ে ভেনেজুয়েলার সীমানায় পৌছানোর পর ইরানের তেলের ট্যাঙ্কারকে এসকোর্ট করে নিয়ে যায় ভেনেজুয়েলার বিমান ও নৌ বাহিনী।
উভয় দেশের ওপর অবরোধ আরোপ করা যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তেলবাহী ট্যাঙ্কারের বহরের প্রতি নজরদারি করছে তারা। আর ভেনেজুয়েলা ও ইরান উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তক্ষেপ না করতে হুঁশিয়ারি করে দিয়েছে।
খবরে বলা হয়, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেলের মজুত থাকা সত্ত্বেও পরিশোধিত তেলের সংকটে ভুগছে ভেনেজুয়েলা। ইরানি পরিশোধিত তেল আসায় ইরানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। তিনি বলেন, ‘উত্তর আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদের কাছে নতি স্বীকার না করা দুই বিপ্লবী রাষ্ট্র হলো ইরান ও ভেনেজুয়েলা।’ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত রাষ্ট্রীয় বার্তায় তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলা ও ইরান উভয় দেশই শান্তি চায়।
খবরে বলা হয়, ফরচুন, ফরেস্ট, পেটুনিয়া, ফ্যাক্সন ও ক্ল্যাভেল নামে ৫টি তেলবাহী ইরানিয়ান ট্যাঙ্কার মোট ১৫ লাখ ব্যারেল তেল বহন করছে। এই মাসের শুরুতেই ট্যাঙ্কার ৫টি মিশরের সুয়েজ খাল অতিক্রম করেছে। এদের মধ্যে ফরচুন পৌঁছেছে। এদিকে শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তার দেশের ট্যাঙ্কার বাধাগ্রস্ত হলে প্রতিশোধ নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ভেনেজুয়েলার পার্শ্ববর্তী ক্যারিবিয়ান সাগরে অবৈধ মাদক পাচার রোধে মার্কিন নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের একটি বহর টহল দিচ্ছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানি তেলবহর ঠেকানোর কোনো পরিকল্পনার ঘোষণা দেননি।