× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তারকা যখন ঘরে /প্রথম বইয়ের কাজ শুরু করেছি - তাহসান

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
২৭ মে ২০২০, বুধবার

করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের রমজান এবং ঈদ সবারই অন্যরকম কেটেছে। সবাই বাসায় থেকেই ঈদ উদযাপন করেছেন। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানও ঘরেই ঈদ উদযাপন করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এবার রমজান মাস জুড়েই সংযমে থেকেছি। ঈদের দিনটিতেও তেমন কেটেছে। আল্লাহ আমাদের একটি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, এটা মেনে নিতে হবে। আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে।

তাহসান বলেন, এবারই প্রথম কোনো ঈদে মেয়ের সঙ্গে শপিংয়ে যাইনি।
বাবার সঙ্গে ঈদের জামাতে নামাজ পড়তেও যাইনি। কোনো আত্মীয়র বাসায় যাওয়া, বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দেওয়া হলো না। এটা এক ধরনের আক্ষেপের বিষয়। তবে আমাদের বুঝতে হবে, সাময়িক আনন্দের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনাটা ঠিক নয়। আমরা ভালোবাসার মানুষকে মিস করবো, এই মিস করাটাই এবারের ঈদের অর্জন।

ঈদুল ফিতরে অসহায় মানুষদের প্রসঙ্গ টেনে তাহসান বলেন, আমাদের জাকাত ব্যবস্থা অসাধারণ একটি পদ্ধতি। আমি চেষ্টা করি প্রতিবছর আমার আয়ের হিসাব করে জাকাত দেওয়ার। এবার জাকাতের টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে হয়েছে। আরেকটি বিষয় হলো ‘মিউজিক এগেইনস্ট হাঙ্গার’ নামে অনলাইন কনসার্ট করেছি। আমেরিকার একটি এনজিও, বাংলাদেশের একটি এনজিও ও ইউনিলিভার এই কনসার্টের আয়োজন করেছে। আমরা বাসা থেকে গান পরিবেশন করেছি। অকশন পৃথিবীতে পরিচিত একটি মাধ্যম। যেটা এবার আমরা বাংলাদেশে করলাম। এখন লাইভ ফান্ড রাইজিং কনসার্টও হচ্ছে। লাইভ চলাকালীন দান করার জন্য অ্যাকাউন্ট নম্বরটি স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয়। তারপর যে যার মতো ওই অ্যাকাউন্ট নম্বরে ডোনেট করেন। এখান থেকে সংগৃহীত টাকাটা ঈদের পরপরই অসহায় মানুষদের জন্য ব্যয় করবো। তাহসান আরো বলেন, মানুষ অনেকটা সময় যখন একা থাকে, তখন নিজের সঙ্গে নিজের চিন্তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে পারে। এই সময়ে বাসায় বসে অনেক ধরনের কাজ করেছি। গান লেখা, সুর করা, গান গাওয়া ইত্যাদি। ক্যারিয়ারে মানুষের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। এখন পাওয়ার চিন্তার চেয়ে দেওয়ার চিন্তাটা বেশি করতে হবে। আমি অনেক বছর শিক্ষকতা করেছি। লেখালেখিও করি। এর মধ্যেও অনেক প্রকাশক ফোন করে বলেছেন, আপনি বই লেখেন না কেন? আমি সবসময় বলেছি, আমি সেই জায়গায় পৌঁছাইনি। তবে এখন মনে হচ্ছে, আমার যে চিন্তা-চেতনার জায়গা আছে, তা মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া প্রয়োজন। সেখান থেকেই আমার প্রথম বইয়ের কাজ শুরু করেছি। আমার মনে হয় না আমি অনেক বই লিখবো। তবে প্রত্যেকটা বইয়ের পেছনে এমন শ্রম দিতে চাই, যাতে বইটি দীর্ঘ সময় মানুষের মনে বেঁচে থাকে। লকডাউনের মধ্যে ‘আমি অদৃশ্য পরজীবী’ নামে একটি গান লিখেছি। গানটির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করলে অনেকে ভেতরের অর্থটা বুঝবেন। আবার অনেকে বুঝবেন না। সেই বিশ্লেষণটা আমি লিখতে চাই। এটি হবে প্রবন্ধ সংকলন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর