টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শাহনাজ আক্তার চৈতী (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গৃহবধূর শ্বশুররবাড়ীর দুয়ার থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, প্রায় দুই বছর পূর্বে দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল গ্রামের মেয়ে শাহনাজ আক্তার চৈতী ভালবেসে বিয়ে করেন উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা পশ্চিমপাড়া গ্রামের লাভলু মিয়ার ছেলে মো. লাভু মিয়াকে। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৩ মাস বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে।
নিহত চৈতীর মায়ের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য প্রতিনিয়তই শ্বশুরবাড়ীর লোকজন তার মেয়ের ওপর অত্যাচার চালাতো। সর্বশেষ গত ১৫-২০ দিন আগেও যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়েকে মারপিট করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে আমি ৫ হাজার টাকা দিয়ে মেয়েকে শ^শুরবাড়ী পাঠাই। এর আগেও ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান উকিল বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়ণাতদন্ত রির্পোট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী- শ্বশুর পলাতক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।