× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দীঘিনালায় যুবক হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পুলিশ

বাংলারজমিন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
২৭ মে ২০২০, বুধবার

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন কবাখালী ইউনিয়নের মিলনপুরস্থ জৈনক অমল কান্তি চাকমার সেগুন বাগানে গত ২৩ মে মোঃ ইমরান (২৬) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের মাত্র ৪ দিনের মাথায় এর রহস্য উদঘাটন করতে সামর্থ্য হয়েছে পুলিশ।

বুধবার (২৭ মে) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল আজিজ।

তিনি বলেন, গত ২৩ মে হত্যাকাণ্ডের শিকার যুবকের মাতা দীঘিনালা থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে ঐ দিনই ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। এরপর পুলিশের একটি চৌকস দল ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে কাজ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সন্দেহযুক্ত আসামী শরীফুল ইসলাম (২৩) শরীফকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য বিজ্ঞান ভিত্তিক তদন্ত কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে আরেকজন সন্দেহযুক্ত আসামী মোঃ আনোয়ার হোসেন (৩৮) কে দীঘিনালা থানা বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী মোঃ আনোয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আসামীকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনাস্থল এলাকা হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তার ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। অত:পর আসামীদ্বয়কে মনস্তাত্ত্বিক কৌশল প্রয়োগ করে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করে অপর সন্দেহযুক্ত আসামী মোঃ আল আমিন (২৩) কে কবাখালীর মিলনপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকেসহ অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তার ছুরি এবং টমটম উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য ও বিজ্ঞান ভিত্তিক তদন্ত কৌশল প্রয়োগ করে অপর সন্দেহযুক্ত আসামী মোঃ রমজান (২৯) কে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর আসামী মোঃ রমজানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকেসহ অভিযান পরিচালনা করে তার বসতঘর হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তার একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল আজিজ বলেন, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য খুব দ্রুতই উদঘাটন করতে পেরেছি। এই হত্যাকাণ্ডে মোট ৪জন কিলার অংশগ্রহণ করে। আমরা আমাদের দক্ষ চৌকস দলের মাধ্যমে ১জন ১জন করে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করেছি। এদের মধ্যে মূল আসামী মোঃ রমজান (২৯) পালিয়ে যাওয়া অবস্থায় মানিকছড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করি। প্রাথমিক তদন্তে মাদক ব্যবসা কেন্দ্রিক বিরোধের জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর