× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিরাজগঞ্জে নৌকা ডুবি আরও ২জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১১

বাংলারজমিন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
২৭ মে ২০২০, বুধবার

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় আরও ২জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে এক শিশুসহ ৫জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো। নিখোঁজ রয়েছে আরো ১১জন মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার স্থলচর এলাকায় ঝড়ো হাওয়ায় যমুনা নদীতে এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এনায়েতপুর থানার ওসি মোল্লা মাসুদ পারভেজ জানান, বুধবার সকালে নিখোঁজ আরও ২জনের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। নিখোঁজ রয়েছে আরো ১১জন। হতাহতরা অধিকাংশই ধানকাটা শ্রমিক। নতুন যে দু'জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে তারা হলেন, শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী গ্রামের আমজাদ হোসেন (৪০) এবং আজিজল হক (৩৮)। এরআগে মঙ্গলবার দু’দফায় স্থানীয়রা বেলকুচি উপজেলার গয়নাকান্দি জহির ফকিরের ছেলে পাষাণ ফকির (৬৫), কলাগাছি গ্রামের শামীম হোসেনের ছেলে নাইম (৪) এবং টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সুবর্ণতলী গ্রামের ব্যবসায়ী মৃত মজিদ মোল্লার ছেলে কামাল মোল্লার (৪৫) লাশ উদ্ধার করেন।

ওসি মোল্লা মাসুদ পারভেজ জানান, বুধবার সকাল থেকে নিখোঁজদের উদ্ধারে বিআইডবিøউটিএ এবং ফায়ার সার্ভিসের ২টি ডুবুরী দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। নদীর কোথাও লাশ পাওয়া গেলে সন্ধান দেয়ার জন্য টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, পাবনাসহ পাশ্ববর্তী জেলা সমূহে ম্যাসেস দেয়া হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৩জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ২জনের লাশ থানা হেফাজতে রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মনজিল হক জানান, ঘটনাস্থল থেকে নদীর ৩/৫ কিলোমিটার ভাটি পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। তবে নদীতে প্রবল ¯্রােত ও বাতাসের কারনে অভিযান চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে। তারপর পরবর্তী সিদ্বান্ত নেয়া হবে। মঙ্গলবার দুপুরে চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর ঘাট থেকে ইব্রাহিম মাঝির ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকা চৌহালীতে যাবার পথে স্থলচর এলাকায় পৌঁছলে বাতাসের কবলে পড়ে নদীতে ডুবে যায়। নৌকায় ৭৩ জন যাত্রী ছিল। মঙ্গলবার পর্যায়ক্রমে ৫৭ জনকে জীবিত ও ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছিল স্থানীয়রা বলেন, ওসি। এদিকে, জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা জানান, তারা শাহজাদপুর ও বেলকুচি উপজেলার শ্রমজীবি মানুষ। সবাই টাঙ্গাইলের করটিয়া ও মির্জাপুরে ধানকাটার জন্য যাচ্ছিল। নৌকার ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলার জন্য এই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন তারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর