× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চকরিয়ার আইসোলেশন ওয়ার্ড ভিজিটে যান না চিকিৎসক-নার্স

বাংলারজমিন

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
২৭ মে ২০২০, বুধবার

কক্সবাজারের চকরিয়া করোনা হটস্পর্ট হয়ে উঠেছে। এই উপজেলায় ১৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা আক্রান্তদের জন্য চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু করা হয়েছে ৫০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড। হাসপাতালের নতুন ভবনে এই আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়। কিন্তু এই আইসোলেশন ওয়ার্ডের চিকিৎসা-খাবার ও বিদ্যুৎ নিয়ে রোগীরা অসন্তোষ।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, চকরিয়ায় ২৬মে পর্যন্ত ১৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৯জন। বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬০ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৩ জন।
হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে দুই জন। নার্স রয়েছে তিন জন। পালাক্রমে চিকিৎসক-নার্সরা রোগীদের সেবায় দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, রোগীরা ভর্তির পর যথাযথ খোঁজ-খবর নেন না চিকিৎসক-নার্সরা। আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভিজিটে যায় না কোন চিকিৎসক-নার্সরা। হাসপাতালের আইসোলেশনে রোগী আসলে তাদেরকে শুধুমাত্র কয়েকটি ওষুধ দিয়েই দায়সারা ভাবে শেষ করছে তাদের কাজ। এরপর আর কোন খবর রাখেনা করোনা আক্রান্ত রোগিদের বিষয়ে। শুধু সকাল-বিকেল ও রাতে তাদের খাবার সরবরাহ করা হয়। সারা-দিনের মধ্যে একটি বারের জন্যও কোন চিকিৎসক বা নার্স রোগিদের দেখতে বা খবর নিতে যায়না।
এমনকি রোগিদের যে খাবার সরবরাহ করা হয় তা নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। তাদের যেসব খাবার সরবরাহ করা হয় তা খুব নিম্নমানের। একদম মুখে দেয়ার মতো না। রোগি হিসেবে ভর্তি আছে তাই খাওয়া এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা রোগি গোলাম মোস্তফা পারভেজ বলেন, ‘আমি ২১ তারিখ আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হই। ভর্তি হওয়ার পর পর্যন্ত কোন চিকিৎসক বা নার্স আমাদের ওয়ার্ডে ঢুকেননি। দেখা মিলেনি কোন চিকিৎসক বা নার্সদের। যেদিন এখানে ভর্তি হয়েছি সেদিন কিছু ওষুধ দিয়েছেন। ওইসব ওষুধ নিয়ম করে খেতে বলেছেন। আমি সেভাবে খাচ্ছি।’

একই অভিযোগ করেছেন আইসোলেশনে থাকা আরেক করোনা আক্রান্ত রোগী এমডি মুকুল। তিনি বলেন, ‘এখানে বিদ্যুৎ চলে গেলে খুবই কষ্ট হয়। প্রায় সময় বিদ্যৎ চলে যায়। এসময় নেই কোন জেনারেটরের সুবিধা। এরকম একটি হাসপাতালে জেনারেটর থাকা অত্যন্ত জরুরী।’
সচেতন মহল দাবি করেছেন, এতো বড় হাসপাতাল। কিন্তু রোগিরা যদি পর্যাপ্ত সেবা না পায় তাহলে এই হাসপাতাল বানানোর কি দরকার ছিলো। করোনা কালে মানুষের একমাত্র ঠিকানা হাসপাতাল ও চিকিৎসক। কিন্তু চিকিৎসকরা যদি সে সেবাটুকু না দেয় বা তারা যদি সহানুভুতি না দেখায় তাহলে রোগিরা এমনিতেই আতংকিত হয়ে পড়বে। তাই উপজেলা প্রশাসন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সকলের সমন্বয়ের মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ রোধে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।  
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ শাহবাজের মোবাইলে অনেকবার কল দেয়ার পরও ওনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখা কয়েকটি বিষয় আমার নজরে এসেছে। খাবারের মান উন্নয়নের বিষয় এবং দিনে অন্তত একবার হলেও চিকিৎসক অথবা নার্সরা পুরোপুরি সুরক্ষিত থেকে যাতে আইসোলেশন ওয়ার্ড ভিজিট করেন সে বিষয় নিয়ে হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তার সাথে কথা বলবো।’
এসব বিষয় নিয়ে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ জাফর আলম বলেন, ‘হাসপাতালের নানা অসংগতির বিষয় আমার কানে আসে। আমি আইসোলেশনে থাকা রোগিদের খাবারের মান উন্নয়নের জন্য ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে টাকা দিতে চাইলেও সে টাকা নেননি হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ডা.শাহবাজ। তিনি কি কারণে টাকা নিচ্ছেনা তা আমি অবগত না।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর