× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভারতীয় নাগরিকের পিটুনিতে বাংলাদেশী নিহত, ৪ দিনেও ফেরত দেয়নি লাশ

অনলাইন

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
(৩ বছর আগে) মে ২৭, ২০২০, বুধবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন

চোর সন্দেহে ভারতীয়দের নাগরিকদের পিটুনিতে   বাংলাদেশী নাগরিক লোকমান হোসেন (৩২) নিহত হয়েছে। ।গরু চোর অপবাদ দিয়ে  তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত ২৪ মে  অবৈধভাবে  সীমান্ত  অতিক্রম করে  ভারতের মোহনপুর   এলাকায় তার ফুফুর বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মোহনপুর  চা বাগানে পৌছতেই এক দল ভারতীয় নাগরিক   লোকমান হোসেন কে  পথরোধ করে  গরুচোর সন্দেহে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। এসময় সে চোর না বেড়াতে এসেছে এমন আকুতি  বারবার জানালে ও  তাকে   পিটানো হয়। পরে গরু চোর সন্দেহে গনপিটুনিতে তার মৃত্যুর  খবর ত্রিপুরার    গনমাধ্যম   সম্প্রচার করে। মৃত ভেবে ভারতীয়রা  লোকমান কে  বাংলাদেশ সীমান্তের  অদুরে একটি জঙ্গলে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে  পশ্চিম ত্রিপুরা রাজ্যের  সিধাই থানা পুলিশ  মুমূর্ষু অবস্হায় উদ্বার করে  একটি হাসপাতালে  নিয়ে গেলে সেখানে লোকমানের  মৃত্যু হয়।
ভারতীয় নাগরিকের হাতে  বাংলাদেশী নিহত লোকমান মিয়া মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী   ধর্মঘর ইউনিয়নের মালঞ্চপুর   গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে। আজ বুধবার   বিকালে  বি জিবি  বিএস এফ এর পতাকা  বৈঠক হয়    ১৯৯৪  /৪ এস পিলারে নিকট । ভারতের পক্ষে   ১২০ ব্যাটালিয়নের  মোহনপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার     ইন্সপেক্টর শশি কান্ত   ও বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৫৫ বিজিবির ধর্মঘর ক্যাম্পের কোম্পানী  কমান্ডার সুবেদার দেলোয়ার হোসেন,  ভারতের পশ্চিম  ত্রীপুরা রাজ্যের  মোহনপুর  সীমান্ত  দিয়ে লাশ হস্তান্তর  করার কথা ছিল।   কিন্তুু ভারতীয় পুলিশ ময়না তদন্ত  সুরতহাল রিপোর্ট আনুসাংগিক কাগজ পত্র ছাড়া লাশ হস্তান্তর  করতে চায়।  এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা আপত্তি  জানায় । নিহতের পরিরার সুত্র জানান, লোকমান মিয়া  বাড়ি পাশ দিয়ে অবৈধ পথে সীমান্ত  অতিক্রম করে ভারতের   মোহনপুরে তার ফুফুর  বাড়ি যাচ্ছিল। ।  পথে মধ্যে ভারতীয় নাগরিকদের   রোষানলে পরে নির্মম ভাবে খুন  হন। লোকমানের মৃত্যুর খবর জানার পর  তার লাশ দেশে ফিরে আনার ব্যাপারে দু দেশের সীমান্ত  রক্ষী দের মধ্যে  কয়েক দফা আলোচনা শেষে সকল প্রকার আনুষ্টানিকতা শেষে  আজ বুধবার  বিকালে  মোহনপুর সীমান্ত দিয়ে লোকমান মিয়ার মরদেহ  হস্তান্তর করার কথা ছিল।  কিন্তুু ভারতের পশ্চিম ত্রিপুরার সিধাই থানা পুলিশ  লোকমান মিয়ার মৃত্যু সংক্রান্ত  কাগজ পত্র  নিয়ে আসেনি। তারা হত্যাকান্ড কে অপমৃত্যু  বলছে।   সিধাই থানা ওসি  মাধবপুর পুলিশের ইন্সপেক্টর মোরর্শেদ আলম কে মৌখিক ভাবে অবগত করেন  বাংলাদেশী নাগরিক  লোকমান মিয়া কে সিধাই থানার গোপাল নগর গ্রামে আহত অবস্হায় পাওয়া যায়।  পরে তাকে  আগরতলা জিবি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু  হয়। এ ব্যাপারে অপমৃত্যু  মামলা হয়েছে।  এ ব্যাপাবে মোর্শেদ আলম ময়না তদন্ত  রিপোর্ট সহ আনুসাংগিক  কাগজ পত্র  সহ লাশ  ফেরত চান  । কিন্তুু  কাগজ পত্র ছাড়া লাশ হস্তান্তর  করতে চাইলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা   কাগজ ছাড়া লাশ গ্রহনে অনিহা প্রকাশ করলে   ভারতীয়রা  লাশ ফেরত দেয়নি।  নিহতের ছোট ভাই  হুমায়ুন বলেন, আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। ভারতীয় গনমাধ্যমে প্রচার  হয়েছে। অথচ কাগজ পত্র ছাড়া লাশ ফেরত দিতে চায়।  আমরা পরিবার বাংলাদেশের  বিজিবি, পুলিশের মাধ্যমে কাগজ পত্রসহ লাশ চাই। হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন  ৫৫ বিজিবি,র সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন  চৌধুরী বিষয় টি নিশ্চিত করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর