× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ছুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৯ মে ২০২০, শুক্রবার

 বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, করোনা ভাইরাসের রাজনীতিকরণে ব্যস্ত সরকার। তারা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থতা ঢাকতেই মানবজীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ অভিযোগ করেন। রিজভী বলেন, বাংলাদেশ একাই নয়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তান্ডবে বিশ্বের প্রতিটি দেশই বিপর্যস্ত। তবে যেসব দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তান্ডবকে সাধারণ সংকট ভেবে কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করেছিল তাদের নজিরবিহীন পরিস্থিতি মোকবিলা করতে হচ্ছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের। আমরা দেখেও  কোনো কিছু শিখেছি বলে মনে হচ্ছে না। তিনি বলেন, গত একদশকে প্রতিটি ঘটনায় বিরোধী দল ও মতের মানুষের বিরুদ্ধে পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে ক্ষমতাসীনরা পরিস্থিতির ওপর জবরদস্তিমূলক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল।
এবারও মনে হয় তারা একই কায়দায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। পরিস্থিতি  মোকাবিলায় সারাবিশ্ব যেখানে ‘লকডাউন’, ‘আইসোলেশন’ কিংবা ‘কোয়ারেন্টিন’-এর মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সেখানে বাংলাদেশ ‘সাধারণ ছুটি’র নামে, সাত দিন কিংবা ১০ দিন করে ছুটি বাড়িয়ে বিষয়টিকে হালকাভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছে। আর এখন আবার অফিস আদালত খোলার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। রিজভী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের ভয়াবহ মহামারীতে বিপর্যস্ত গোটা পৃথিবী। বৈশ্বিক বাস্তবায়নে বাংলাদেশও যেন করোনার ছোঁবলে নীল হয়ে উঠেছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দেশে দেশে নেয়া হয়েছে লকডাউন, কারফিউ-জরুরি অবস্থাসহ নানা কঠোর পদক্ষেপ। আর বিশ্বে একমাত্র বাংলাদেশেই ‘ছুটি’ দিয়ে কথিত লকডাউন বলে প্রচার করে আসছে।’ বিশ্বের অন্য  দেশগুলো ‘ছুটি’ শব্দটি ব্যবহার করেনি দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমাদের পাশের দেশ ভারতও  ঘোষণা দিয়ে লকডাউন করেছে। মুসলিম দেশগুলো কারফিউ দিয়েছে। ‘ছুটি’ শব্দটি কেন দেয়া হলো, তা নিয়ে সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বিস্ময় রয়েছে। এখনই উপযুক্ত সময়ই ছিল কিছুদিনের জন্য হার্ড-লকডাউন কার্যকর করে ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে টেস্টের আওতায় এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু সরকার সেই পথে না গিয়ে হাঁটছে মৃত্যুর মিছিল বাড়ানোর পথে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর