× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনায় আরেকটি আশার আলো ‘মুশফিক ফাউন্ডেশন’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৯ মে ২০২০, শুক্রবার

করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়াতে প্রথমে ফাউন্ডেশন করেন সাকিব আল হাসান। বর্তমানে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ বিশ্বসেরা এই বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের পর আরো অনেকেই একই উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই মধ্যে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ শরীফের ফাউন্ডেশন কার্যক্রম শুরু হয়ে হয়েছে ঈদের আগে। এবার করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আরেকটি আশার আলো মুশফিকুর রহীম ফাউন্ডেশন। নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ১৫ বছর পূর্তিতে যার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় দলের সেরা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। তার এই ফাইন্ডেশনের নামও ঠিক করেছেন- ‘এমআর১৫’। এখন চলছে এর লোগো তৈরির কাজ।  এ বিষয়ে মুশফিক বলেছেন, ‘যেহেতু ক্যারিয়ারজুড়ে আপনারা আমার শক্তি ছিলেন। আপনাদের কাছে এমআর১৫ ফাউন্ডেশনের একটি লোগো নকশা আহ্বান করছি।
পাঠানো নকশা থেকে আমি সেরা পাঁচটা নির্বাচন করব। এই পাঁচজন ঢাকায় যেকোনো একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আমার সঙ্গে  নৈশভোজের সুযোগ পাবেন। সেটি অবশ্যই করোনা পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গেলে। পাঁচজনের মধ্যে (চূড়ান্ত বিজয়ী) একজন আমার অটোগ্রাফসহ জার্সি পাবেন। তার লোগোটি আমার এমএর১৫ ফাউন্ডেশনের লোগো হিসেবে ব্যবহার হবে।’
অন্যদিকে করোনা বিপর্যয়ে শুরু থেকেই বসে নেই মুশফিক। নিজের প্রিয় মাঠে গিয়ে ব্যাট করতে না পারলেও দেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নিজের অর্থে ক্ষতিগ্রস্তদের সেবা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়  দেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করা তার ঐতিহাসিক ব্যাট নিলামে তুলেছিলেন তিনি। সেখান থেকে অর্জিত ১৭ লাখ টাকা পুরোটাই ব্যয় করছেন দুস্থদের জন্য। এবার ফাউন্ডেশন করে তিনি আরো বড় আকারেই সেবা করতে চাইছেন। মূলত নিজের আয়োজনের প্রধান কাজটি নিয়েই এখন তিনি ব্যস্ত। একটি লোগো তৈরি। যার দায়িত্ব দিয়েছেন ভক্তদের হাতে। অন্যদিকে নিজের ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে পাশে থাকা সাবাইকে জানিয়েছেন ধন্যবাদও। তিনি বলেছেন, ‘ঠিক এই দিনে (২৬ মে) ১৫ বছর আগে লর্ডসে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিলাম। দেখতে দেখতে ১৫টি বছর কেটে গেল। আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর বিশেষ রহমতে যতটুকু অর্জনের সুযোগ হয়েছে, প্রাণ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। যাত্রাটা খুব  সহজ ছিল না। পুরো যাত্রায় যারা আমার সঙ্গে যারা ছিলেন, নিঃস্বার্থভাবে সমর্থন দিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার জন্য দোয়া করবেন। গত ১৫ বছর যেভাবে দিতে পেরেছি, সামনে যেন তার চেয়ে ভালো কিছু ইনিংস উপহার দিতে পারি। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে যেন আরও সম্মানিত করতে পারি।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর