ভারতের অন্ধ ক্রিকেট টিমকে দুটি বিশ^কাপ জিতিয়েছেন শেখর নায়েক। জিতেছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। তবে তার কাছে ওসব পুরস্কারের চেয়ে এখন একটি সরকারি চাকুরি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ৩৩ বছর বয়সী নায়েক বলেন, ‘গত ৮ বছরে আমি কর্ণাটকার বিভিন্ন মূখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি, তাদের কাছে একটি সরকারি চাকরি অনুরোধ করেছি। গত ডিসেম্বরে আমি ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাকে বলেছি, আমার আসলে পদ্মশ্রী পুরস্কারের চেয়ে একটি চাকরি বেশি দরকারি। কারণ আমার স্ত্রীও অন্ধ।’
চাকরিটা কেন জরুরি সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন শেখর নায়েক। তিনি বলেন, ‘আমার ২৫ হাজার টাকা বেতনের ১২ হাজারই চলে যায় বাড়ি ভাড়ায়। কোনো না কোনোভাবে আমি এটা ব্যবস্থা করে এসেছি। কিন্তু লকডাউনের কারণে আমার বেতন আটকে গেছে।
দুই মাস ধরে বাড়ি ভাড়াও দিতে পারছি না। আমার পরিবার এখন কঠিন সময় পার করছে।’
ব্যাঙ্গালুরুর শেখর নায়েক ছিলেন জন্মান্ধ। ৮ বছর বয়সে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ডান চোখের ৬০ শতাংশ দৃষ্টি ফিরে আসে তার। তবে বাম চোখে কিছুই দেখতে পান না তিনি। ভারত অন্ধ ক্রিকেট টিমকে ২০১২ টি-টোয়েন্টি ও ২০১৫ ওয়ানডে বিশ^কাপ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই অলরাউন্ডার। ২০১৭ সালে প্রথম প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার হিসেবে জেতেন ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব পদ্মশী।