× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লালমনিরহাটে গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল

বাংলারজমিন

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
২৯ মে ২০২০, শুক্রবার

লালমনিরহাটে গামেন্টস কর্মী মৌসুমির মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। মৃত মৌসুমি লালমনিরহাটের সীমান্তবর্তী বুড়িমারী এলাকার উফামারা গুচ্ছ গ্রামের বৃদ্ধ গোলাম মোস্তফার মেয়ে। ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন তিনি।
জানা যায়, বিয়ে হলেও মৌসুমির স্বামী পরিত্যক্তা মৌসুমি দারিদ্রতার কারণে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। গত ২২শে মে তার মা সাহেরাকে মোবাইলে মৌসুমি জানায়, ঢাকা ট-২২-২৫৯৮ নং ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছেন তিনি। ট্রাক ড্রাইভার আজিজুল আর ট্রাক মালিক নান্নু মিয়া। ট্রাক মালিক নান্নু মিয়ার বাড়ি বুড়িমারী। পথিমধ্যেই ট্রাকে মৌসুমির মৃত্যু হয়। করোনায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে ট্রাক ড্রাইভার আজিজুল লাশটি রংপুর তাজহাট থানায় লাশ জমা দেয়।
তাজহাট থানার পুলিশ ড্রাইভারের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে নিহত মৌসুমির বাবাকে খবর দেয়। পরে পোস্টমর্টেমের জন্য তাজহাট থানার পুলিশ লাশটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পোস্টমর্টেম শেষে মৌসুমির বাবা গোলাম মোস্তফাকে তার মেয়ের লাশ বুঝিয়ে দেয়া হয়। এদিকে মৌসুমির বাবা অভিযোগ করেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার কথা শুনে লাশ নিয়ে তাকে গ্রামে প্রবেশ করতে বাধা দেয় বুড়িমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত। তার বাবা জানায়, তাজহাট থানার পুলিশ ওই ট্রাক ড্রাইভারের কাছ থেকে ১৪ হাজার টাকা নিয়ে তাকে দেয়। সে টাকা নেয়ার পর রংপুর মেডিকেলের সামনে এক মাইক্রো চালক লাশটি রংপুর আঞ্জুমান মফিদুলে দাফনের জন্য ৫ হাজার টাকা আর ভাড়া ৩ হাজার মোট ৮ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু দাফন না করে মাইক্রো চালক লাশটি ২৩ মে তিস্তা নদীতে ফেলে দেয়। পরদিন ২৪শে মে বিকালে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানার পুলিশ মহিষখোচা এলাকার তিস্তা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে। এ সময় লাশটি পুলিশের লাশের ব্যাগে ছিল। পুলিশের ব্যাগের সূত্রধরে লাশের পরিচয় পায় আদিতমারী থানার পুলিশ।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানায়, লাশটি ব্যাগের সূত্র ধরে উদ্ধারের জন্য তার বাবাকে আনা হয়। তবে নিহত মৌসুমির বাবা গোলাম মোস্তফার কথায় অসংগতি বলে পুলিশ জানায়। লাশের গাড়িতে মৌসুমির বাবা না থাকার বিষয়টিও পুলিশকে ভাবিয়ে তুলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৌসুমির করোনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট নেগেটিভ এসছে বলে নিশ্চিত করেছে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায়ন। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকতা জানায় গার্মেন্টস কর্মী মৌসুমির মৃত্যু নিয়ে ধূ¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তার মৃত্যুটা রহস্য ঘেরা। সে দেখতে সুন্দর ছিল। তাকে ট্রাকেই ধর্ষণের পর হত্যা করলো কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ হিসাবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানায়, ট্রাকটি যেহেতু বুড়িমারীর ছিল। বিষয়টি জানাজানির ভয়ে হত্যা করা হতে পারে। গামেন্টস কর্মী মৌসুমির মৃত্যুর বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসক।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর