× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঈদ ফেরত মানুষের ভিড়ে বিপর্যস্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে
২৯ মে ২০২০, শুক্রবার

ঈদের পরদিন থেকেই ঢাকামুখী মানুষের চাপ চোখে পড়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশপথ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে। মানুষের স্রোতে রীতিমতো বিপর্যস্ত ২১টি জেলার মানুষের যাতায়াতের এই নৌ রুটটি।
সরজমিনে শুক্রবার সকাল থেকে দেখা যায়, পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে ছুটছে ঢাকামুখী মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও যেভাবে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত নেমেছে সে তুলনায় যাত্রী বহনকারী ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ ছোট যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। তাও আবার ১০০ টাকার ভাড়া হাজার টাকায় গুনতে হচ্ছে মানুষজনকে।  এতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষগুলো। দেখা গেছে, দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে প্রতিটি ফেরিতে ঈদ ফেরত মানুষজন গাদাগাদি করে পাটুরিয়া ঘাটে আসছে। একেকটি ফেরিতে কিছু কিছু ছোট গাড়ি থাকলেও মানুষজন আসছে কমপক্ষে ৫শ’ জন। আর এই মানুষজন পাটুরিয়া ঘাটে এসেই ছুটে যাচ্ছেন ছোট যানবাহন অর্থাৎ প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস কিংবা সিএনজির কাছে।  নির্ধারিত ভাড়ার চাইতে দশগুন বেশি ভাড়া দিয়েই মানুষজন প্রাইভেটকার কিংবা মাইক্রোবাসের ভেতরে গাদাগাদি করে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
এদিকে গেল কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের কয়েকটি পন্টুনে পানি উঠে পড়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
ইতিমধ্যে পাটুরিয়া ৩, ৪ ও ৫নং ঘাটের আশেপাশে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
বিআইডব্লিউটিসি, আরিচা অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে মোট ১৬টি ফেরি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ছোট যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের জন্য ৮টি চলাচল করছে। পাটুরিয়া ঘাট থেকে খুব কমসংখ্যক ছোট যানবাহন ও যাত্রী দৌলতদিয়া ঘাটে গেলেও সেখানে ঢাকামুখী যানবাহন ও যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। তবে পারাপারে কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। পন্টুনে পানি উঠা এবং ঘাট এলাকায় ভাঙন সম্পর্কে তিনি বলেন, পাটুরিয়া ঘাটে তিনটি পন্টুনে পানি উঠে পড়ায় ঘাটগুলো মিড ওয়াটারে নেয়া হয়েছে। আর ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ও জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আশা করি সহসাই এই সমস্যা থাকবে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর