× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দাম না পেয়ে বিপাকে মাগুরার লিচু চাষিরা

বাংলারজমিন

মাগুরা প্রতিনিধি
২৯ মে ২০২০, শুক্রবার

চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে এমনিতেই বাজারে লোক সমাগম কম। উপরন্ত আম্ফান ঝড়ের প্রভাবে প্রায় ২ কোটি ২৮ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে মাগুরার লিচু চাষিরা। জেলা কৃষি বিভাগের দাবি, লিচুগ্রাম খ্যাত মাগুরা সদর উপজেলার হাজরাপুর, ইছাখাদা, খালিমপুর, মিঠাপুর, হাজিপুরসহ অন্তত ৩৫টি গ্রামের লিচু চাষিরা এই  ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে জেলায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ করা হয়। তার মধ্যে সদরে ৪৬৪ হেক্টর, শ্রীপুরে ৮০ হেক্টর, শালিখায় ২০ ও মহম্মদপুরে ২০ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হয়েছে ৫৮ হেক্টর জমির লিচু। সরজমিন লিচু বাগানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, লিচু ব্যাপারিদের আনাগোনা খুবই কম। অনেক আগে যেসব ব্যাপারিরা বাগান কিনে ছিল শুধু তারা লিচু সংগ্রহ করছে। বাগানে আগত ঢাকার যাত্রাবাড়ির লিচু ব্যাপারি শেখ রাসেল জানান, করোনা প্রভাবে এবার লিচুর চাহিদা কম থাকায় আমাদের সংগ্রহও কম।
যানবাহন ও শ্রমিক খরচ বাদে লিচু বিক্রি করে যে অর্থ থাকে তাতে আমাদের তেমন একটা লাভ হয় না। তাই লিচুর ব্যবসা অনেকটা ভাটা পড়েছে। ইছাখাদার লিচু চাষি রাজু বিশ্বাসসহ আরো অনেকে জানান, এক সময় এ এলাকার কৃষকরা ধান-পাটসহ প্রচলিত ফসল চাষে অভ্যস্ত ছিল। যা থেকে তাদের উৎপাদন খরচ উঠতো না। যে কারণে তারা পেঁপে, পেয়ারার পাশাপাশি লিচু চাষ শুরু করে। পরবর্তীতে লিচু চাষ অপেক্ষাকৃত লাভজনক হওয়ায় গোটা এলাকার কৃষকরা লিচু চাষ শুরু করে। বর্তমানে হাজরাপুর, হাজিপুর, রাঘব দাইড় এ তিন ইউনিয়নের ৩৫ গ্রামের কৃষকরা শুধু লিচুর চাষ করছে। কিন্ত এবার করোনা ও ঝড়ের প্রভাবের কারণে আমরা বিপাকে পড়েছি। আমার নিজের ১৫টি বাগান ছিল। গত বছর এ বাগান থেকে ৬০-৭০ লাখ টাকার লিচু বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু এবার করোনা প্রভাবে বাইরে থেকে তেমন কোনো লিচু ব্যাপারিরা আসছে না। তাই এবার লাভতো দূরের কথা পুঁজি বাচানোয় চিন্তায় আছি।  আলাইপুর গ্রামের লিচু চাষি সিদ্দিক হোসেন জানান, ৬৫০টি গাছ নিয়ে তার একটি সুবৃহৎ লিচু বাগান রয়েছে। গত বছর যা ১৫ লাখের অধিক টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এবার করোনার প্রভাবে বিক্রি হয়েছে ৬-৭ লাখ টাকায়।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহিদুল আমিন জানান, সদর উপজেলার হাজরাপুর, হাজীপুর ও রাঘবদাইড় ইউনিয়নের ইছাখাদা, মিঠাপুর, গাঙ্গুলিয়া, খালিমপুর, মির্জাপুর, পাকাকাঞ্চনপুর, বীরপুর, রাউতড়া, বামনপুর, আলমখালী, বেরইল, লক্ষ্মীপুর, আলাইপুর, নড়িহাটিসহ ৩৫টি গ্রামের চাষিরা গত ২ দশক ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিচু চাষ করে আসছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় লিচু চাষ ভালো হয়েছে। গোটা জেলায় প্রায় দেড় হাজার লিচু বাগান রয়েছে। কৃষি বিভাগ অব্যাহতভাবে নিয়মিত খোঁজখবর নেয়ার পাশাপাশি সব ধরনের সুবিধা দিচ্ছে এসব চাষিদের। এবার ঝড়ে লিচু গাছের কিছু অংশ ক্ষতি হয়েছে। তবে লিচুর ভালো দাম পেলে চাষিরা উপকৃত হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর