জাফর ভাই, ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বললাম, শেষ পর্যন্ত আপনাকে নিয়েই জাতীয় ঐকমত্য হলো তাহলে। দুই নেত্রীই তো চাইছেন, আপনি সুস্থ হয়ে উঠুন। প্রধানমন্ত্রী আপনার জন্য কেবিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। বিএনপি চেয়ার পার্সন আপনার সুস্থতা চাইছেন । আপনিতো এটাই চাইতেন, কোন কোন বিষয়ে দুই নেত্রী এক সুরেই কথা বলুন। আপনাকে নিয়েই সেটি হলো। পরিচিত সেই হাসি দিয়েই জবাব : সঠিক বলেছো। দুই নেত্রী আমাকে নিয়েই এক সুরে কথা বলেছেন , আমি কৃতজ্ঞ।
আজ সকালে জানালেন তিনি অনেকটা সুস্থ বোধ করছেন। তবে তাঁর আক্ষেপ : দেখো, আমার জন্য যে প্লাজমা নেয়ার ব্যবস্থা হলো এতো দ্রুত; এটা একজন রিক্সাওয়ালার জন্য কেন হবে না ? যে টেস্ট বিনা পয়সায় বা নামমাত্র মূল্যে করা যায়, সরকারী হাসপাতালে সেটা কেন দ্রুত সবার জন্য উন্মুক্ত করা হলো না । বেসরকারী হাসপাতালে সে জন্য গরীব মানুষের গলাকাটা হবে কেন ? কেন সব হাসপাতালে সবাই চিকিৎসা সুবিধা পাবে না? মানুষের জন্য কোনটা সবচাইতে জরুরী সেটা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে এত দেরি হবে কেন ?
বললাম, জবাবতো মেলে না জাফর ভাই। বললেন : জবাব না পাও , প্রশ্ন করতেই হবে ।
নিজে ভালো বোধ করছেন, কিডনী ডায়ালাইসিস চলছে জানিয়ে বললেন : দেখি কত তাড়াতাড়ি বের হতে পারি , অনেক গুলো কাজ করতে হবে ।কীটতো আছেই; একটা প্লাজমা ব্যাংক করতে পারলে অনেক মানুষকে সহায়তা দেয়া যায় ।
টেলিফোন আলাপের গোটা সময় প্রায় সাধারণ মানুষের স্বাস্হ্য সুবিধার কথা। দেশে হেলথ জাস্টিস / স্বাস্হ্য সুবিধায় ন্যায্যতার কথা বলেন, ভাবেন এমন আর একজনকেওতো দেখি না ।
দ্রুত ভালো হয়ে উঠুন জাফর ভাই ।
(লেখাটি বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুলের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে)