× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্লাজমা ব্যাংক স্থাপনের উদ্যোগ জাফরুল্লাহর

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৩০ মে ২০২০, শনিবার

চিরকালের যোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মাতৃভূমির প্রতিটি দুর্যোগে ছুটে এসেছেন। এবার করোনা মহামারির সময়েও শুরু থেকে উদ্যোগী তিনি। তার প্রতিষ্ঠান ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ এরইমধ্যে করোনা পরীক্ষার কিট উদ্ভাবন করেছে। যদিও সে কিট এখনো অনুমোদন পায়নি। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত এ খবর এখন সবার জানা। প্রায় ৮০ বছর বয়স্ক এ মুক্তিযোদ্ধা কিডনি সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। কিন্তু এখনো তিনি উদ্যোমী, সংগ্রামী।
তার লড়াইয়ের যেন শেষ নেই।
করোনা আক্রান্ত হয়ে প্লাজমা থেরাপি নিয়েছেন। এখন তার চিন্তা কীভাবে এ সুযোগ দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়। এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘প্লাজমা ব্যাংক’ গঠন করার। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এটা একটা দূর্দান্ত থেরাপি। জাদুর মতো কাজ করে। আমি যখন এই থেরাপি নিয়েছি তখনই বিষয়টা বুঝেছি।  থেরাপি  নেয়ার পর চাঙ্গা হয়ে উঠেছি। এখন প্লাজমা থেরাপি সব করোনা  রোগীর পাওয়া দরকার। শুধু আমরা কয়েকজন সুবিধা পাবো, আর দেশের অন্যরা বঞ্চিত থাকবে, তা হতে পারে না। তিনি বলেন ,এখন প্লাজমা  ডোনেট করার জন্য  দেশের মানুষকে  বোঝাতে হবে। যদি সবাই মিলে উদ্যোগ নেয়া যায়, বোঝানো হয়, তাহলে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে গেছেন ও শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে  গেছে, তারা খুব সহজে  ডোনেট করতে পারবে। আমাদেরকে এটাই এখন মানুষকে  বোঝাতে হবে।
উদ্যোগের অগ্রগতি নিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, এটার জন্য কিছু সরঞ্জামও লাগবে। আমরা এখন উদ্যোগ নিচ্ছি।  প্রফেসর ডা. মহিউদ্দিন খান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাজ করছেন। শিশু হাসপাতালে কাজ করছেন ডা. হারুন। এটা অত্যন্ত মহৎ কাজ। তাদের সেই কাজের অংশ হিসেবেই আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে একটি ‘প্লাজমা ব্যাংক’ গড়ে  তোলার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। এর জন্য কিছু সরঞ্জাম বিদেশ  থেকে আমদানি করতে হবে। কিছু অর্থও লাগবে।  অর্থের  ক্ষেত্রে  প্রয়োজনে গণস্বাস্থ্যের সম্পদের বিপরীতে ব্যাংক  থেকে লোন নিয়ে নেবো। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলো যদি উড়োজাহাজে করে আনি, তাহলে দুই সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে না। সবকিছু মিলিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা সরঞ্জাম এনে স্থাপন করে  ফেলতে পারবো।
টেলিভিশন-মোবাইল ফোন সঙ্গী করে দিন কাটছে ঘরবন্দি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর। তিনি বলেন, কিছুক্ষণ বইপত্র পড়ি, কিছুক্ষণ টেলিভিশন  দেখি, রিমোট নিয়ে একটার পর একটা চ্যানেল বদলাই। আবার কিছুক্ষণ  মোবাইলের কল রিসিভ করে নানা মানুষের কথা শুনি। কিছুক্ষণ ঘুমাতেও হয়। এভাবেই আমার দিন যায়, রাত আসে। এটাই আমার আইসোলেশন লাইফ। দেশের অসংখ্য মানুষ তার জন্য দোয়া করেছেন, তার খোঁজ খবর নিয়েছেন। এজন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর