গোলাম রাব্বানী হেলাল বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। কিডনি সমস্যায় ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। সেই থেকে ডায়ালাইসিস চলছিল তাঁর। গত পরশু হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাঁর ভাইয়ের ছেলে গোলাম কাইফি জানিয়েছিলেন, 'চাচা স্ট্রোক করেছেন। অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। এত রক্তক্ষরণ হয়েছে যে, অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয় বলেছেন ডাক্তারা।
বরিশাল থেকে উঠে এসে ঢাকা আবাহনীর হয়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল মাতিয়েছেন এই সুদর্শন ফুটবলার। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত খেলেছেন আবাহনীতে। মাঝে অবশ্য কিছুদিন বিজেএমসিতেও ছিলেন। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত খেলেছেন জাতীয় দলে। খেলা ছেড়ে আবাহনী লিমিটেডের পরিচালকও হয়েছেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সদস্য ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের ফুটবলের একটি নেতিবাচক অধ্যায় হয়তো অনন্তকালই জেগে থাকবে হেলালের নামের সঙ্গে। ১৯৮২ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে (তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়াম) ফুটবল খেলতে গিয়ে জেলে যাওয়া আবাহনীর চার ফুটবলারের একজন তিনি। তার সঙ্গে জেলে গিয়েছিলেন কাজী সালাউদ্দিন, আশরাফউদ্দিন চুন্নু ও কাজী আনোয়ার।